মুহাম্মদ রাসেল উদ্দিন, কুড়িগ্রাম।। কুড়িগ্রামের কচাকাটায় সাত বছরের কন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সৎ পিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে নিগৃহীতের শিকার ওই মেয়েকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় কচাকাটা থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে নিগৃহীতের শিকার মেয়ের মা বাদি হয়ে কচাকাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পরশুরামেরকুটি গ্রামের মিলনিবাজার এলাকায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পরশুরামেরকুটি (শাহিবাজার) গ্রামের মৃত মোহাম্মদ শেখের ছেলে চানমিয়া কবিরাজের (৪৯) দ্বিতীয় স্ত্রী সোনাহাট স্থল বন্দরের পাথর ভাঙ্গা শ্রমিক। তার আগের একটি সাত বছরের মেয়ে রয়েছে। মেয়েকে নিয়ে ওই স্ত্রী পরশুরামেরকুটি গ্রামের মিলনি বাজারে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। মাঝেমধ্যে চানমিয়া ওই বাসায় স্ত্রী এবং সৎ মেয়েসহ একসঙ্গে থাকেন। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৬ মে) দিবাগত রাতে ঘুমান তিনজন। ভোর সাড়ে ৪টার (বৃহস্পতিবার ২৭ মে ) দিকে স্ত্রী বিছানা ছেড়ে রান্না করতে গেলে সৎ মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে চানমিয়া। এই অনৈতিক কাজের বিষয়টি মায়ের কাছে খুলে বলে মেয়েটি।
বেশ কিছুদিন থেকে সৎ বাবা এমন আচরণ করছে বলেও মায়ের কাছে অভিযোগ করে মেয়েটি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীকে আসামি করে কচাকাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মেয়েটির মা এবং অভিযুক্তের দ্বিতীয় স্ত্রী। রাতেই অভিযুক্ত চানমিয়াকে গ্রেপ্তার এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএসএম সায়েম জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রামে পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম জানান, গ্রেপ্তারকৃত চানমিয়াকে শুক্রবার (২৮ মে) আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুকে মায়ের হেফাজতে দেয়া হয়েছে। রোববার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য ভিকটিমকে আদালতে পাঠানো হবে।