কেফায়েত উল্লাহ,নিজস্ব প্রতিবেদক।। লালমনিরহাট থানায় এক ভিন্ন রখমের প্রতিবাদের চিত্র দেখা যায়। রশিদা বেগম নামের এক নিঃসন্তান, বিধবা মহিলার পোষা মুরগী ও বাচ্চাকে মেরে ফেলা হয়েছে এমন অভিযোগে মৃত মুরগী নিয়ে থানায় হাজির হয় রশিদা বেগম।থানায় হাজির হলেও কোন লিখিত অভিযোগ করেননি রশিদা বেগম দিয়েছেন আল্লাহকে বিচার।
শনিবার ( ৫ এপ্রিল ) বিকেলে সদর থানায় রশিদা বেগম তার মৃত মুরগী নিয়ে হাজির হয়।
মৃত মুরগী নিয়ে থানায় হাজির হয়ে কান্নায় ভেঙে পরেন রশিদা বেগম। এসময় থানার কর্মকর্তা -কর্মচারীসহ উপস্থিত সকলের মধ্যে এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।ভুক্তভোগী রশিদা বেগম সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকার বাসিন্দা।তার স্বামী -সন্তান নেই।অন্যের বাসায়, বাসায় কাজ করে সংসার চালায় রশিদা বেগম।
থানায় উপস্থিত হয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, মানুষের বাসায় কাজ করে ও ভিক্ষা করে ক্রয় করা মুরগীগুলো পরম যত্নে লালন-পালন করেন তিনি। প্রতিদিনের মতো শনিবার শকালে মুরগীগুলোকে খাবার দিয়ে মানুষের বাসায় কাজে যায়।কাজ থেকে বিকেলে বাসায় ফিরে দেখতে পারে তার ১১ টি মুরগী মৃত্য অবস্থায় পাড়ে আছে।তিনি বিশ্বাস করের, তার মুরগীগুলো কেউ শত্রুতা করে বা বিশ প্রয়োগ করে বা অন্য ভাবে হত্যা করেছে।এই মুরগী কয়েকটাই ছিলো তার সম্বল।মুরগীর ডিম বিক্রি করতো ও বাচ্চা ফুটিয়ে বড় করার স্বপ্ন ছিলো তার। কিন্তু কে বা করা তার মুরগীগুলো হত্যা করেছে বুঝতে পারছেন না তিনি।মুরগী হত্যার বিচারের জন্য প্রমাণ হিসেবে মৃত্য ১১ টি মুরগীর মধ্যে ৫ টি মুরগী নিয়ে থানায় হাজির হয় রশিদা বেগম।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরনবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এক মহিলা তার ৫ টি মৃত মুরগী নিয়ে বিচার চাইতে থানায় হাজির হয়।আমরা তার অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। তবে তিনি মৃত মুরগী নিয়ে থানায় হাজির হলেও কোন লিখিত অভিযোগ করেননি শুধু আল্লাহকে বিচার দিয়েছেন।