ডেস্ক রিপোর্ট:: চুক্তিভঙ্গ এবং প্রতারণার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের আদালত জনপ্রিয় শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গেল ৯ আগস্ট মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অলক দাস এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
জানা গেছে, আয়োজক প্রতিষ্ঠান শঙ্কর বাগচীর দায়ের করা মামলায় এ দিন মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল মমতাজের। এর আগে এক নোটিশে জানানো হয়, সেদিন মুর্শিদাবাদের বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার মামলার চার্জ গঠন করা হবে। আর সেদিন মমতাজ উপস্থিত না হলে কণ্ঠশিল্পীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে।
এদিকে ভারতের আদালতের এই রায় নিয়ে ফেসবুকে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মমতাজ। তিনি লিখেছেন, ‘এই কথা সত্য যে অনেক বছর আগে ভারতের বহরমপুর কোর্টে আমার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি একটা মিথ্যা বানোয়াট মামলা করেন, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাকে ভয় দেখিয়ে কিছু টাকা হাতিয়ে নেওয়া। একই সঙ্গে ওই ব্যক্তি ছাড়া আমি যেন কারও মাধ্যমে ভারতে কোনো কনসার্ট করতে না পারি।
তিনি আরও লেখেন, ‘কোনো ডকুমেন্ট ছাড়া ১৪ লাখ টাকা নেওয়ার একটি মিথ্যা মামলা উনি (শক্তি শঙ্কর বাগচী) সাজিয়েছেন, যার কোনো প্রমাণ এই ১৪–১৫ বছরে আদালতে দাখিল করতে পারেননি। এই বছর আমি দুবার আদালতে হাজির হই, কিন্তু দুঃখের বিষয় মামলার বাদী দুবারই অসুস্থ বলে কোর্টে অনুপস্থিত থাকেন। তার মূল উদ্দেশ্য আমাকে হয়রানি করা। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দ্রুত এই মামলাটি যাতে শেষ হয়, বিজ্ঞ আদালতকে অনুরোধ করি। কিন্তু আদালত শেষ যে তারিখটি দিয়েছিলেন ওই সময়ে আমার আগে থেকেই কানাডায় প্রোগ্রাম নেওয়া ছিল বিধায় উপস্থিত থাকতে পারিনি। তবে আমি আদালতকে এ বিষয় অবহিত করি এবং পরবর্তী সময়ে একটা সময় চাইলে বিজ্ঞ আদালত সেটা গ্রহণ করে আমাকে সেপ্টেম্বরের ৮ তারিখ পুনরায় তারিখ দেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনের জন্য তার সঙ্গে মমতাজ বেগম লিখিতভাবে চুক্তিবদ্ধ হন। চুক্তি মোতাবেক শঙ্করের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মমতাজ বেগম নিয়মিত অংশ নিতেন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ১৪ লাখ রুপিতে মুর্শিদাবাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য চুক্তিতে আবদ্ধ হন। মমতাজ অর্থও গ্রহণ করেন। পরে তিনি সেই অনুষ্ঠানে হাজির হননি।