করোনার টিকা নিয়ে দেশে অনেক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জনগণকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা বিএনপির জন্মগত স্বভাব।’ যারা এরই মধ্যে টিকা নিয়েছেন, তাদের কারো মধ্যে খারাপ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলেও জানান তিনি। জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে আজ মঙ্গলবার এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যারা সাজাপ্রাপ্ত, এরা যখন কোনো দলের নেতৃত্বে থাকে, সেই দল জনগণের কাজ করবে কীভাবে? তাদের ওপর মানুষের আস্থা থাকে না, বিশ্বাস থাকে না। সেই বিশ্বাস আর আস্থাটা আর নাই। আস্তে আস্তে সেই জায়গাটা সরে গেছে। মানুষ এখন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে যেহেতু সেবা পেয়েছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, দেশের মানুষের কল্যাণ হচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষের আস্থা আর বিশ্বাস আওয়ামী লীগ অর্জন করছে।’
জাতীয় সংসদে ২০২১ সালের প্রথম অধিবেশনের শুরুতেই বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির সেই বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর মঙ্গলবার বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ইচ্ছে করলে যে উন্নয়ন করা যায় বর্তমান সরকার তা প্রমাণ করেছে।’
করোনার টিকা সংগ্রহের জন্য এক হাজার কোটি টাকা প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে সরকার।’ করোনার সংক্রমণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে দেশের সবাইকে টিকা নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টিকা দেওয়ার পর খুব খারাপ রিয়েকশন হয়েছে—এমন শোনা যায়নি। কারো হাতে একটু বেশি ব্যথা হয়েছে, বা কারো হালকা জ্বর—তাও চার থেকে পাঁচজনের—আমরা সেটাও মনিটরিং করছি। গুজব রচনা করে মিথ্যা কথা বলে অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা বিএনপির জন্মগত চরিত্র। তাদের কথা তারা বলে যাবে, আমাদের কাজ আমরা করে জনগণকে সেবা দিয়ে যাব।’
করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক মহল থেকে সাধুবাদ জানালেও, দেশের মধ্যে বিনা কারণে সমালোচনা করা হয়েছে বলে আফসোসও প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘ভ্যাকসিন এসে গেছে। এটা নিয়ে অনেক সমালোচনা, অনেক ব্যঙ্গ শুনেছি। ভ্যাকসিন আসার পর বোধহয় ভ্যাকসিন নিজেই উত্তরটা দিয়ে দিয়েছে। যারা বলেছে তাদের মুখেই থাপ্পড়টা পড়েছে।’