মায়ের অপেক্ষা
মোঃ আবুল হোসাইন
শোষণ ভুলে পেষণ ঠেলে রাখলো মুখের বুলি,
হতে তাঁরা চাননি কভু অন্য ভাষার কুলি।
মায়ের ভাষা রাখার আশা দেশ প্রেমিকে করে,
জীবন দিয়ে এলো নিয়ে মায়ের ভাষা ঘরে।
মায়ের খোকা খায়নি ধোঁকা স্বৈরাচারীর বাতে,
প্রভাত কালে সবাই মিলে প্রতিবাদে মাতে।
তৈরি করছে থালা ভরছে নানা পিঠা পুলি,
জানতো না মায় পিঠাতে নয় পেট ভরাবে গুলি।
মায়ের খোকা নয়তো বোকা বুঝে ভাষার মান’টা,
তাইতো তাঁরা পাগলপারা দিতে তাঁদের জান’টা।
পথের পানে খোকার শানে আজও চেয়ে মায়ে,
খোকা আসবে ভালোবাসবে সোহাগ দিবে গায়ে।
মা জানতো না আর ফিরবে না খোকা নীড়ের পানে,
তিলের গজা খাওয়ার মজা আর শুনবে না কানে।
রসের মিঠাই খাবে সদাই শীত ঋতুটা ধরে,
নতুন চালের শুকনো মুড়ি টিনে রাখছে ভরে।
বাড়ির গাছের আতা ফলটা মায় রেখেছে তুলে,
সন্তান এলে খেতে দিবে দুখের ক্ষণ’টা ভুলে।
কুলের আচার ছেলের জন্য রাখছে বৈয়ম ভরে,
প্রতিদিন তা রোদে শুকায় ছেলে আসার তরে।
মায়ের সন্তান আর এলো না মায়ের বুকে ফিরে,
সকল আশা হয় দুরাশা মায়ের মন’টা ঘিরে।
জানে না মায় ভাষার জন্য প্রাণ করেছে তুচ্ছ,
কয়েক’টা ফুল ঝরে গেছে যাঁরা ছিলো গুচ্ছ।
যাদের জন্য পেলাম আমরা প্রিয় বাংলা ভাষা,
আজো মায়ে অপেক্ষাতে সন্তান ফিরে আসা।