তাহমিনা আক্তার,ঢাকা:: নতুন শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রতিটি শ্রেণিতেই পৃথকভাবে এই রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এজন্য আলাদা করে অর্থও পরিশোধ করতে হবে শিক্ষার্থীদের। বছর শেষে একটি সনদও পাবেন শিক্ষার্থীরা। তবে এই রেজিষ্ট্রেশন একজন শিক্ষার্থীকে একবারই করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুধুমাত্র ৮ম কিংবা নবম শ্রেণিতে রেজিষ্ট্রেশন সীমাবদ্ধ থাকবে না। সবি শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরই রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এজন্য নতুন একটি অ্যাপস তৈরি করা হচ্ছে। এই অ্যাপস ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার তথ্য রেকর্ড রাখা হবে এবং বছর শেষে একটি সনদ দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হবে। এর মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হবে।
ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে কোন শ্রেণিতে কত শিক্ষার্থী রয়েছে, তার একটি সুস্পষ্ট চিত্র আমাদের কাছে থাকবে। ফলে পাবলিক পরীক্ষার আগে গিয়ে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের যে চাপ তৈরি হয়, তা আর থাকবে না।
জানা গেছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলামে পাঠদান চলছে। নতুন পাঠ্যক্রমে কোনো পরীক্ষা নেই। ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে মূল্যায়িত হবেন শিক্ষার্থীরা। এই মূল্যায়ন যাতে বোর্ডে সংরক্ষিত করা যায় সেজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সাথে শিক্ষার্থীদের তথ্যও সংগৃহীত থাকবে।
এনসিটিবি জানিয়েছে, চলতি বছর থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম শুরু হয়েছে। এই শিক্ষার্থীদেরও পারদর্শিতার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তাও এই অ্যাপসে যুক্ত করা হবে। আগামী বছর ষষ্ঠ থেকে শুরু করে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এটুআই এর মাধ্যমে অ্যাপস তৈরি করা হবে।
জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এটি কার্যকর হবে। কেউ ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিষ্ট্রেশন করলে পরবর্তীতে তাকে আর রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখনো অ্যাপস তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করিনি। অ্যাপস তৈরি করবে এটুআই। এজন্য আমরা তাদের চিঠি দেব। সঠিকভাবে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা গেলে শিক্ষার্থীরাই লাভবান হবে বলেও জানান তিনি।