প্রতিদিনের বাংলাদেশ।। বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল নাগপুর-হায়দরাবাদগামী এক এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আকাশ থেকে বিমানটির একটি চাকা খুলে মাটিতে পড়ে গেলেও দ্রুত ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করে বিপর্যয় এড়াতে সক্ষম হন পাইলট।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানায়, বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাতে নাগপুর থেকে হায়দরাবাদ যাচ্ছিল এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি। তাতে ছিলেন একজন রোগী ও একজন চিকিৎসক। কিন্তু আকাশে ওড়ার পরই ত্রুটি দেখা যায় বিমানটির যন্ত্রাংশে। তার একটি চাকা খুলে মাটিতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিকল্পনা মতো, মুম্বাই বিমানবন্দরে সেটিকে নামানো হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রোগী, চিকিৎসক ও বিমানকর্মীরা সবাই নিরাপদে ও অক্ষত অবস্থাতে আছেন।
পাইলট কেশরী সিংও জানান, হঠাৎ ত্রুটি ধরা পড়ায় অবতরণ খুব সহজ ছিল না। প্রথমে ল্যান্ডিং গিয়ার ব্যবহার না করে বেলি ল্যান্ডিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। অর্থাৎ বিমানের চাকা ভেতরে না ঢুকিয়েই তাকে মাটিতে নামিয়ে আনা। সেই কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রানওয়েতে ফোমের বন্দোবস্ত করেছিলেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। উদ্দেশ্য, যাতে কোনোভাবেই বিমানটিতে আগুন ধরে না যায়।
কেশরী সিংও আরও জানান, ‘যখন দেখলাম বিমানটির চাকা খুলে পড়ে গেছে, তখন বুঝেছিলাম নামতে হলে অনেকটা জ্বালানি পোড়াতে হবে। আমি বেলি ল্যান্ডিংয়ের পক্ষে ছিলাম। তবে জানতাম না রানওয়ের কোনও ক্ষতি হবে কিনা। অবশেষে সব কিছু ঠিকভাবে হওয়ায় এবার স্বস্তি।’
বিমানবন্দর সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রতিদিন জানায়, ওই ঝুঁকিবহুল অবতরণের আগে বিমানচালক বেশ টেনশনে ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিরাপদে বিমানটিকে অবতরণ করাতে তিনি সফল হন।