নিজেকে ফিট আর সুস্থ রাখতে মধু হতে পারে অন্যতম একটি মাধ্যম। তাই মধু শুধু খাবার নয় ওষুধও বটে। বিশেষ করে যারা ডায়েট করার চিন্তা-ভাবনা করছেন, তাদের জন্য মধু হতে পারে চিনির বিকল্প।
এছাড়া মধু শুধু ওজন কমাতেই সহায়তা করে না; পাশাপাশি ব্যথা নিরাময়ে কিংবা হজম শক্তি বাড়াতেও মধুর বিকল্প নেই। তাই সেই আদিকাল থেকেই মধু চিকিৎসা ক্ষেত্রের নানা অংশে এমনকি খাবারের তালিকায় প্রতিদিনের অংশ হিসেবে ছিল বেশ পরিচিত।
এছাড়া মধুতে রয়েছে গ্লুকোজ, মন্টোজ, খনিজ লবণ ও অ্যামাইনো এসিড থেকে শুরু করে চর্বি এমনকি প্রোটিন; যা আপনার শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে।
তবে বর্তমান এ সময়ে খাঁটি মধু নির্বাচন করাই সবচেয়ে কঠিন বিষয়। মধুর ক্ষেত্রে সবচেয়ে সেরা মধু মানুকা মধু। অন্যদিকে সরিষা ফুল, লিচু, কালিজিরা, গুজি তিল কিংবা তৃষি থেকে প্রাপ্ত মধুর গুণাগুণও প্রায় মানুকা মধুর কাছাকাছি।
অন্যদিকে খাঁটি মধু চেনার ক্ষেত্রে মধু থেকে কোনো ধরনের কটূ গন্ধ না পেলে, দীর্ঘদিন মধু রেখে দিলেও তা নষ্ট না হলে বুঝে নিন এটি খাঁটি মধু।
গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে সকালে ঘুম থেকে ওঠে পান করা কিংবা সকালের নাশতায় মধুর উপস্থিতি তাই সুস্থতার মূলমন্ত্র অনেকেরই কাছে। অন্যদিকে ঠাণ্ডা, জ্বর কিংবা কাশি হলে মধু দ্রুত আরোগ্য লাভে বেশ কার্যকর।
অন্যদিকে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থাকা মধু আপনাকে রোগবালাই থেকে যেমন দূরে রাখবে, তেমনি শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।
পাশাপাশি যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, তারা মধু, কালিজিরা, আদা, গোলমরিচ সমপরিমাণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে দ্রুত আরোগ্য লাভের সঙ্গে তাৎক্ষণিক বেশ আরাম লাগবে।
এছাড়া ত্বক রুক্ষ হলে ত্বকে মধুর তৈরি প্যাক আপনার ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে। আর এভাবে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থাকা মধু আপনাকে যেমন সুস্থ রাখবে, তেমনই নানা ধরনের রোগবালাই থেকেও রাখবে মুক্ত আর আপনি থাকবেন ফিট আর সুস্থ।