টাঙ্গাইলের মধুপুরের বেরীবাইদ ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গালিয়া গ্রামের এক যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কয়েক বছর যাবৎ ধর্ষণ করে আসছে বলে মধুপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলা করায় আসামী পক্ষ বাদীকে নানা ধরনের হুমকী দিচ্ছে বলে জানান মামলার বাদীনীর পিতা। এমনকি মামলার সাক্ষীদেরকেও হুমকী দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। জানা যায়, উপজেলার বেরীবাইদ ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গালিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে লাভলু হাসান (২৫) একই এলাকার পার্শ্ববর্তী বাড়ীর এক যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কয়েক বছর যাবৎ ধর্ষণ করে আসছে। মামলার বাদিনী জানায় পূর্ব হইতে অভিযুক্ত লাভলুর সাথে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্কথাকা অবস্থায় ২ (দুই) বছর পূর্বে কাকরাইদ এলাকার জনৈক হোসেন আলীর সাথে কাবিন রেজিষ্ট্রি মূলে তাদের বিবাহ হয়। বিবাহের পর হতেই অভিযুক্ত লাভলু তাকে বিবাহ করিবে বলিয়া নানাভাবে ফুসলাইয়া আসতেছিলো।
ফুসলানোর কারনে বিবাহের ১৫ (পনের) দিন পর স্বামীকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ীতে চলিয়া আসে। প্রেমের সম্পর্কের জেড় ধরিয়া অভিযুক্ত লাভলু তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে কয়েক বছর যাবৎ ধর্ষণ করে আসছিলো। গত ১৪ (নভেম্বর) রাত আনুমানিক ১.০০ ঘটিকার সময় অভিযুক্ত লাভলু বাদিনীর বাড়ীতে আসিয়া তাকে ফুসলাইয়া ধর্ষণ করে। ঐ সময় বাদিনীর মা শব্দ শুনিয়া ঘুম হইতে সজাগ পেয়ে অভিযুক্ত লাভলুকে দেখতে পেয়ে তাকে আটক করে। পরবর্তীতে অভিযুক্তর আত্মীয়স্বজন এসে বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে লাভলুকে নিয়ে যায়। বর্তমানে অভিযুক্ত লাভলু বাদিনীকে বিবাহ না করে নানাভাবে তাল বাহানা করে আসায় ভূক্তভুগি এ ব্যাপারে মধুপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।মামলা করায় আসামী পক্ষ বাদীকে নানা ধরনের হুমকী দেওয়ায় আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বাদী পক্ষ। মধুপুর থানার মামলা নং- ১১।