মোঃ মামুনুর রশিদ মিঠু,লালমনিরহাটঃ ভোটের আগে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে নিয়ে তার ভাই, কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বিভিন্ন বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সমাজ কল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের বিপক্ষে গিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হকের পক্ষে নির্বাচনী সভাসমাবেশে বিরুপ বক্তৃতা করছেন।
এর জবাবে মন্ত্রীর অন্য সব ভাই-বোনেরা মুখ খুলছেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে আদিতমারী উপজেলার নামুড়ী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠের নির্বাচনী জনসভায় মন্ত্রীর ভাই খুরশিদুজ্জামান আহমেদ বক্তৃতা করেন।
বক্তৃতায় খুরশিদুজ্জামান জানান , তার বাবা প্রয়াত এমপি করিম উদ্দিনের ১৩ জন সন্তান। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের এক ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ ভোটের বিভিন্ন সভাসমাবেশে তাদের পিতৃতুল্য বড় ভাই সমাজ কল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ’কে নিয়ে বিরুপ মন্ত্রব্য করছেন। এর পিছনের কারণ খুঁজতে হলে পিছনে যেতে হবে। এই বিবাদের শুরু হয় গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে।
মাহবুবুজ্জামান আহমেদ উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পরেও তার স্ত্রীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী করেন। তখন তাদের সব ভাইবোনের সিদ্ধান্ত ছিলো, তাদের পরিবারকে মানুষ যথেষ্ট সম্মান দিয়েছে। এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ গুরুত্বপূর্ণ পদের অধীকারি করেছেন।
তাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অন্য প্রার্থীকে নৌকা মার্কা ছেড়ে দিতে হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এলাকার উন্নয়ন ও স্থানীয়দের সার্থে একজন আওয়ামীলীগ নেতাকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সমর্থন করেন। ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহাববুজ্জামান আহমেদ এর স্ত্রীকে সমর্থন না দিয়ে একজন আওয়ামীলীগ নেতাকে সমর্থন দেওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ এমপির ভাই মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ যে সকল বিরূপ মন্তব্য করছেন তা কর্নপাত না করতে সাধারণ ভোটারদের প্রতি আহবান জানান মন্ত্রীর আরেক ভাই খুরশিদুজ্জামান আহমেদ।
নির্বাচনী ওই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন সমাজ কল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ, মন্ত্রী পুত্র লালমনিরহাট জেলা আওয়ামিলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ, মন্ত্রীর বোন চায়না চৌধুরী, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চলবলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু প্রমুখ।
নির্বাচনী জনসভার সভাপতিত্ব করেন পলাশী ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ এর সভাপতি আব্দুল হামিদ মোল্লা।