মনজু হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃ পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ঝাড় পুকুরি বানিয়া পাড়ায় বৃষ্টি রানী (১৬) নামে এক গৃহবধূ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বিয়ের আড়াই মাসের মধ্যে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার দুপুরে দিকে উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ঝাড় পুকুরি বানিয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃষ্টি রানী ঝাড়পুকুরি গ্রামের অজয় রায়ের স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের ধামের ঘাট এলাকার বঙ্কশের মেয়ে।
ভালোবেসে বিয়ে করে মেহেদীর রং না মুছতেই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নববধূ আত্মহত্যা করে। কাংখিত পুরুষকে জীবন সঙ্গী হিসেবে পেয়েও মাত্র আড়াই মাসে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল নববধূ বৃষ্টি রানী।তবে প্রতিবেশী ও বৃষ্টি রানীর আত্মীয়রা বলছে শশুরবাড়ি লোকজনের সাথে যৌতুক নিয়ে কলহ সৃষ্টির জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বৃষ্টি রানী।
বৃষ্টি রানীর বাবা বঙ্কশ জানান, আড়াই মাস আগে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় দেড় লাখ টাকা যৌতুক দিতে চেয়েছি, ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি বাকি টাকা পরে দিব কিন্তু কেন এমন হল আমি জানিনা।
বৃষ্টি রানীর শশুর ধন্বেশ জানায়, বিয়ের সময় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিতে চাইছিল। ৩০ হাজার দিয়েছে, বাকি টাকা এখনো দেয় নাই।
আমি বাইরে ছিলাম বাড়ি এসে দেখি দরজা বন্ধ। বেড়ার উপর দিয়ে দেখি বৃষ্টি গলায় ফাঁস দিয়েছে তখন দা দিয়ে দরজার বাণ কেটে ঘরে ডুকে দা দিয়ে ওড়না কেটে লাশ নিচে নাই।
বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, নববধু আত্মহত্যার ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।