অনলাইন ডেস্কঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইসহাক আলী খান পান্না মারা গেছেন।
সিলেটের তামাবিল সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালানোর সময় মেঘালয় পাহাড়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ভারতে প্রবেশের পর শুক্রবার মধ্যরাতে মেঘালয়ের শিলং পাহাড়ে ওঠার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু ঘটে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে ভিন্ন ভিন্ন তথ্যও পাওয়া গেছে। কেউ কেউ বলছেন, বিএসএফের গুলিতে তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে তার মরদেহের এক পাশে রক্তের স্তুপ দেখা যায়। এছাড়া তার পায়ে রক্তের দাগ দেখা গেছে। তবে শরীরের দৃশমান অংশে (বুক, মুখ ও হাত-পায়ে) গুলি বা আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।
পান্নার মৃত্যুর খবর জানিয়ে শনিবার বিকাল থেকেই ফেসবুকে শোক জানিয়ে তার বন্ধু-বান্ধব, রাজনৈতিক কর্মীরা পোস্ট করছেন।
বরগুনা-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকুসহ বিভিন্নজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর দিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন।
পান্নার রাজনৈতিক সূত্র বলছে, ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে অবস্থানকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। সেসময় তার এক রাজনৈতিক সহকর্মী পাশে ছিলেন।
তবে কবে কখন কিভাবে তারা শিলং পৌঁছালেন এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভারতের কলকাতায় অবস্থান করা পান্নার এক ঘনিষ্ঠজন তার মৃত্যুর তথ্য বাংলাদেশি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন ইসহাক আলী খান পান্না। সীমান্ত পার হয়ে শুক্রবার রাত ১২টায় মেঘালয়ের রাজধানী শিলং-এর একটি পাহাড়ে ওঠেন তিনি। পাহাড় পার হয়ে ওপারে যাওয়ার চেষ্টার সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। এতেই তার মৃত্যু ঘটে।
ইসহাক আলী খান পান্না ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। ওই সময় ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিলেন সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। পেশাগত জীবনে বীমা কোম্পানি ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের চেয়ারমান ছিলেন পান্না। ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর দলের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এবং পরে বিভিন্ন উপ-কমিটির সদস্য হয়েছিলেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।