ঢাকারবিবার , ২৫ জুন ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ব্র্যাক কোভিড-১৯ লালমনিরহাটের স্বাস্থ্যসেবা অনুদানের টাকা প্রদানে কর্তনের অভিযোগ

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জুন ২৫, ২০২৩ ৬:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আসাদুল ইসলাম সবুজ ॥ ব্র্যাক কোভিড-১৯ দায়িত্ব পালনে লালমনিরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম.টি টেকনিশিয়ান নজরুল ইসলাম (ইপিআই) ও প্রধান সহকারী কাম হিসাব রহুল আমিন রানু’র বিরুদ্ধে ১৪১ জনের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা অনুদানের টাকা প্রদানে কর্তনের অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, সদর উপজেলায় কমিউনিটির সুরক্ষা ব্যবস্থা, প্রতিরোধ এবং কোভিড-১৯ এ স্বাস্থ্য সহকারী, সিনিয়র নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ১৪১ জন। এসব স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনাকালীন সময় কেউ ১০দিন, কেউ ১২দিন ও কেউ ১৩ দিনের দায়িত্ব পালন করেন। ফলে উক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের অনুদান হিসেবে ব্র্যাক ৮ লক্ষ ১২ হাজার ৭০০ টাকা বরাদ্দ দেন। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে চলতি বছরের ২০ ও ২১ জুন ১৪১ জনকে ব্র্যাক লালমনিরহাট স্বাস্থ্য ও পুষ্টি এরিয়া ম্যানেজার মোখলেছুর রহমান জনপ্রতি ১০ হাজার থেকে ৫ হাজার ২শ টাকা অনুদান হিসেবে প্রদান করেন। ওই সময় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম.টি টেকনিশিয়ান নজরুল ইসলাম (ইপিআই) ও প্রধান সহকারী কাম হিসাব রহুল আমিন রানু বিভিন্ন নয়-ছয়ের হিসাব দিয়ে অনুদানের টাকার ২ হাজার ও ৩ হাজার টাকা কর্তন করেন।

এছাড়াও এম.টি টেকনিশিয়ান নজরুল ইসলাম (ইপিআই) তার ছেলেকে হাতীবান্ধা থেকে নিয়ে এসে পোটার সাজিয়ে ব্র্যাকের অনুদানের টাকা গ্রহন করেছেন।
একটি বিশ্বস্ত সুত্র জানান, করোনাকালীন ব্র্যাকের অনুদানের টাকা বিপরীদে প্রত্যেকের নিকট ২ হাজার ও ৩ হাজার টাকা কর্তন করা হয়েছে। সবাই জানেন কিন্তু কেউ বলবেন না। ছোট চাকরি সেই ভয়ে। এ ভাবেই অনুদানের কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এম.টি টেকনিশিয়ান নজরুল ইসলাম (ইপিআই) ও প্রধান সহকারী কাম হিসাব রহুল আমিন রানু ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। তার কিছু অংশ ব্র্যাক এরিয়া ম্যানেজার মোখলেছুর রহমানের পকেটে গেছে। কারণ, নজরুল ও রানুর সাথে তার গভীর সখ্যতা রয়েছে। তিনি অনুদানের টাকা কর্তন বিষয়ে জানেন। টাকা কর্তনের কিছু প্রমাণ এ প্রতিবেদকের সংগ্রহে রয়েছে।

প্রধান সহকারী কাম হিসাব রহুল আমিন রানু বলেন, যত খোঁজখবর নেন লাভ নেই। কেউ টাকা কর্তনের বিষয় স্বীকার করবে না।

এম.টি টেকনিশিয়ান নজরুল ইসলাম বলেন, অনুদানের টাকা প্রদানে কোন টাকা কর্তন করা হয়নি। এসব মিথ্যা।
ব্র্যাক এরিয়া ম্যানেজার মোখলেছুর রহমান বলেন, আমি তালিকা অনুযায়ী টাকা প্রদান করেছি। আমার সামনে কেউ টাকা কর্তন করেনি। আমার টেবিলের বাহির কেউ টাকা নিলে সে দায় আমার নয়।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দীপংকর রায় বলেন, আমি এধরণের কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন