বন্ধুপ্রতিম মুশফিকুর রহীমের চেয়ে ৮ রান পিছিয়ে থেকে ম্যাচটি শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল। কেমার রোচের বলে কভারে এবং শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের ওভারে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দিনের চতুর্থ ওভারেই মুশফিককে ছুঁয়ে ফেলেন তামিম। সে ওভারেই একটি সিঙ্গেল নিয়ে মুশফিককে টপকে শীর্ষে ওঠেন দেশসেরা ওপেনার তামিম। কিন্তু এরপরই ফিরে যান সাজঘরে।
ফলে তামিম আউট হওয়ার সময় টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকাটি দাঁড়ায় তামিম ৪৪১৪ রান এবং মুশফিক ৪৪১৩ রান। মাত্র ১ রানে এগিয়ে থেকে আউট হন তামিম। তাকে টপকে যেতে মাত্র দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় নিলেন মুশফিক। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অধিনায়ক মুমিনুল হকের বিদায়ের পর উইকেটে গিয়ে মাত্র ৬ বলের মধ্যেই নিজের শীর্ষস্থানটি পুনরুদ্ধার করেন মুশফিক।
ইনিংসের ৫১তম ওভারে মুমিনুল ২৬ রান করে ফিরলে ব্যাটিংয়ে আসেন মুশফিক। মুখোমুখি দ্বিতীয় বলে রানের খাতা খোলেন তিনি, যা তাকে বসায় তামিমের সমান্তরালে। পরে ষষ্ঠ বলে স্ট্রেইট ড্রাইভে এক রান নিয়ে তামিমকে ছাড়িয়ে আবারও সিংহাসনে বসেন মুশফিক। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে ৪ হাজার রান করা ব্যাটসম্যান এ দুজনই। তিন নম্বরে থাকা সাকিব আল হাসানের নামের পাশে রয়েছে ৩৮৬২ রান।
গত ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নিজের ৫৫তম ম্যাচে ৪ হাজার রানের মাইলফলক পূরণ করেছিলেন তামিম। একইবছরের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে নিজের ৬৬তম টেস্টে ৪ হাজারের ক্লাবে প্রবেশ করেন মুশফিক। এরপর আজকের আউটসহ ১০ ইনিংসে তামিম করেছেন মোট ৪১২ রান। অন্যদিকে ৪ হাজারি ক্লাবের পর অষ্টম ইনিংসে ব্যাট করতে নামা মুশফিকের সংগ্রহ ৪১০ রান।
বিশ্ব ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় অবশ্য অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এখন পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে অন্তত ৪ হাজার রান করেছেন ১৩৬ জন ব্যাটসম্যান। এদের মধ্যে মুশফিক রয়েছেন ১১৬ নম্বরে। তার পরেই রয়েছে তামিম ইকবালের নাম।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান
১/ মুশফিকুর রহীম - ৪৪১৬ রান, সেঞ্চুরি ৭, সর্বোচ্চ ২১৯*
২/ তামিম ইকবাল - ৪৪১৪ রান, সেঞ্চুরি ৯, সর্বোচ্চ ২০৬
৩/ সাকিব আল হাসান - ৩৮৬২ রান, সেঞ্চুরি ৫, সর্বোচ্চ ২১৭
৪/ হাবিবুল বাশার - ৩০২৬ রান, সেঞ্চুরি ৩, সর্বোচ্চ ১১৩
৫/ মুমিনুল হক - ২৮৬০ রান, সেঞ্চুরি ৯০, সর্বোচ্চ ১৮১
(চলতি টেস্টের প্রথম ইনিংসের ৫৪তম ওভার পর্যন্ত এই পরিসংখ্যান)