যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) পদটি এক বছর ধরে শূন্য থাকায় স্থলবন্দরটির সার্বিক তদারকিসহ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বন্দরের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) পদে যথাযথ কর্মকর্তাকে পদায়ন করার জন্য বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপরও এই পদে কোনো কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়নি।
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাসকে প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) পদে বদলি করে। এরপর পরিচালক (ট্রাফিক) পদে কোনো কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়নি। এই সময় বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিচালক (ট্রাফিক) পদে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপরিচালক (ট্রাফিক) মো. আব্দুল জলিলকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, এরপর বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) পদে কর্মকর্তা পদায়ন করার জন্য গত ২৪ আগস্ট নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলাম নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠিটি লেখেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, বেনাপোল স্থলবন্দর দেশের ব্যস্ততম গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর। বর্তমানে বেনাপোল স্থলবন্দর সাত দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম বেড়েছে। কিন্তু পরিচালক (ট্রাফিক) পদটি শূন্য থাকায় বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। চিঠিতে বন্দরের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) পদে যথাযথ কর্মকর্তাকে পদায়ন করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
সিএন্ডএফ এজেন্ট সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বন্দরে সার্বক্ষনিক পরিচালক না থাকায় ব্যহত হচ্ছে দু দেশের আমদানি রফতানি বানিজ্য। দীর্ঘদিন ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে পরিচালক নিয়োগের জোর দাবি করা হলেও আজো তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক আ: জলিল জানান, বন্দরের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বেনাপোল বন্দরে পরিচালক (ট্রাফিক) নিয়োগ জরুরী হয়ে পড়েছে।