কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহেল রানাকে (২৬) নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বিয়ের এক মাস পার না হতেই সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান তিনি।
রোববার (২৯ নভেম্বর) সকালে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধ-সংঘর্ষে নিহত হতে পারেন সোহেল, প্রাথমিকভাবে এটা ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর পুরো বিষয়টি জানা যাবে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ বলে জানান তিনি।
সন্ত্রাসী হামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহেল খুনের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার রাত দেড়টার দিকে পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের ভরামুহুরীর হাজিপাড়ায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। সোহেল রানা পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের পালাকাটা হাসেম মাস্টার পাড়ার আবদুর রকিমের ছেলে।
পরিবার সূত্র জানায়, গত ৪ নভেম্বর সোহেলের সঙ্গে বিয়ে হয় পেকুয়ার কৃষকলীগ নেতা মেহের আলীর মেয়ে কলির সঙ্গে। বিয়ের ২৪ দিনের মাথায় স্বামী সোহেলকে হারাল নববধূ কলি।
প্রত্যক্ষর্দীরা জানান, হামলার পর ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা সোহেলকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে মরদেহ পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পরপরই হামলায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম আবদুল মান্নান (৩৪)। সে হাজিপাড়ার কবির আহমদের ছেলে বলে জানায় পুলিশ।