ভুক্তভুগি ওই গৃহবধূ বলেন- নিজামগাঁতী গ্রামে তার আগের একটি সংসার আছে। সেখানে দুই সন্তানও আছে। স্বামী আর প্রেমিক হেলালের বাড়ি একই গ্রামে। হেলাল প্রতিবেশী হওয়ায় বছর তিনেক আগে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের আশ্বাস দেন হেলাল। সেই আশ্বাসের তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক চলছিল।
বিয়ের দাবিতে অনশন করা গৃহবধূকে প্রেমিকের বাড়ি থেকে বের করতে লাখ টাকার চুক্তি করেছেন প্রেমিকের বাবা।
দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূকে আজ শনিবার সকালে জোরপূর্বক প্রেমিক হেলালের (৩৫) বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এখন চুক্তির লাখ টাকা ভাগবাটোয়া করে নিয়েছেন গ্রাম্য মাতব্বর আবুল কালাম ও তার সহযোগিরা।
লাখ টাকা চুক্তির বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুলতে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই মাতব্বরদের বিরুদ্ধে।
তবে এবিষয়ে মাতব্বর আবুল কালাম মুক্ত প্রভাতের কাছে কোন মন্তব্য করেননি।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের নিজামগাঁতী গ্রামে গৃহবধূর অনশন নিয়ে ওই নাটকীতার ঘটনা ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে- ওই গৃহবধূ (৩০) বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিক হেলালের বাড়িতে গতকাল শুক্রবার অনশন শুরু করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে সটকে পরেন প্রেমিক হেলাল ও তার বাবা তওহীদ।
ভুক্তভুগি ওই গৃহবধূ বলেন- নিজামগাঁতী গ্রামে তার আগের একটি সংসার আছে। সেখানে দুই সন্তানও আছে। স্বামী আর প্রেমিক হেলালের বাড়ি একই গ্রামে।
হেলাল প্রতিবেশী হওয়ায় বছর তিনেক আগে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের আশ্বাস দেন হেলাল। সেই আশ্বাসের তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক চলছিল।
তিনি বলেন- তারেএবং হেলালের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি সম্প্রতি জানাজানি হয়েছে। একারণে তিনি প্রেমিক হেলালের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন করছিলেন।
এদিকে অভিযুক্ত হেলালের বাবা তওহীদ গোপনীয়তা রক্ষা করে বিষয়টি আপোষ রফার জনব্য স্থানীয় মাতবর আবুল কালামের সাথে লাখ টাকার চুক্তি করেন। চুক্তি মোতাবেক গ্রাম্য মাতবররা সালিশ করে ওই গৃহবধুকে জোরপূর্বক প্রেমিক হেলালের বাড়ি থেকে বের করে দেন।
-স্থানীয় বাসিন্দা
অভিযুক্ত হেলালের বাবা তওহীদ বাড়িতে না থাকায় এব্যপারে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাহের আলীর সাথে মুঠোফোনে মুক্ত প্রভাতকে বলেন, এই অনশনের বিষয়টি জানতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে টেলিফোন আসলেও গ্রাম্য মাতবররা কিছু জানায়নি।
পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুক্ত প্রভাতকে বলেন- এবিষয়ে তিনি কিছু জানেনা।
রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম মুঠোফোন না ধরায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।