ডেস্ক রিপোর্ট:: নিজের অমতে জোর করে বিয়ে দিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তাই ভাড়াটে খুনি দিয়ে বিয়ের মাত্র দুই সপ্তাহের মাথায় স্বামীকে খুন করালেন এক নববধূ। এই ঘটনায় নিহতের ভাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আউরাইয়া জেলায়।মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিয়ের দুই সপ্তাহের মাথায় উত্তর প্রদেশের আউরাইয়া জেলায় ২২ বছর বয়সী এক তরুণী তার প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামীকে হত্যার জন্য ভাড়া করা খুনিদের ব্যবহার করেছে।
অভিযুক্ত ওই নববধূ ও তার প্রেমিকের নাম প্রগতি যাদব এবং অনুরাগ যাদব। পুলিশের মতে, দুই অভিযুক্তের মধ্যে গত চার বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। তবে তাদের বাবা-মা তাদের সম্পর্ক মেনে নেননি এবং চলতি মাসের ৫ মার্চ জোর করে দিলীপ নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রগতির বিয়ে দেন।
এরপর গত ১৯ মার্চ পুলিশ দিলীপকে একটি মাঠে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে দ্রুত বিধুনার কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তার অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায়, তাকে সাইফাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারপর মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে স্থানান্তরিত করা হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৫ বছর বয়সী ওই যুবককে ২০ মার্চ আউরাইয়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আর সেখানে একদিন পর তিনি মারা যান। ঘটনার পর, নিহতের ভাই সাহার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্তের পর জানা যায়, নিহতের স্ত্রী এবং তার প্রেমিক বিয়ের পর দেখা করতে না পারায় তারা স্বামীকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর দুজনে দিলীপকে হত্যা করার জন্য ভাড়াটে খুনি রামাজি চৌধুরীকে ভাড়া করে এবং তাকে কাজটি করার জন্য ২ লাখ রুপি দেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রামাজি আরও কয়েকজনের সঙ্গে মিলে দিলীপকে বাইকে করে একটি মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছানোর পর তারা তাকে মারধর শুরু করে এবং গুলি করে। এরপর তারা তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পরে সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে তিন অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয় এবং পরে গ্রেপ্তার করা হয়। কর্মকর্তারা অভিযুক্তদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, চারটি তাজা কার্তুজ, একটি বাইক, দুটি মোবাইল ফোন, একটি পার্স, আধার কার্ড এবং ৩ হাজার রুপি জব্দ করেছেন।