স্টাফ রিপোর্টার:: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদার তার ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও শেয়ার দেন। সেখানে ১৫ আগষ্ট উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ শ্রদ্ধা জানাতে এসে আন্দোলনকারীদের রোষানলে পড়েন এক আওয়ামী লীগ নেতা। তাকে বিবস্ত্র করা হয় এমন একটি দৃশ্য দেখা যায়। সে ভিডিওর ক্যাপশন নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়িয়েছে। গুজব ছড়িয়ে পড়ে সে লোক মারা গিয়েছে। যা আসলে সত্য নয় বলে জানিয়েছেন এই ছাত্রলীগ নেতা।
আজ শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতা তার ফেসবুক পোস্টে লোকটি জীবিত রয়েছেন বলে জানান। এদিকে গতকাল ১৫ আগষ্ট উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ শ্রদ্ধা জানাতে এসে আন্দোলনকারীদের রোষানলে পড়েন এক আওয়ামী লীগ নেতা। সেখানে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। সে বিবস্ত্রের ভিডিওটি শেয়ার দেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।
হেনস্তার শিকার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম আবদুল কুদ্দুস মাখন। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলার নারায়ণখোলা এলাকায়।
এ বিষয়ে তিনি ফেসবুকে লিখেন, গতকাল একজন ভদ্রলোককে প্রায় বিবস্ত্র করে ভিডিও করার যে পোস্টটি করেছিলাম তার ক্যাপশন প্রথমে দিয়েছিলাম “আমার বাবা মারা গিয়েছে। তোমরা যারা এমন করলে তোমাদের বাবা জীবিত বলে আমি বিশ্বাস করি এবং আমি তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি। তুমি কি মানতে পারতে তোমার বাবার সাথে এমন কেউ করলে ??”
এর মানেই এই নয় তিনি আমার আমার বাবা এবং তিনি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মারা গিয়েছেন।
ঘন্টাদুয়েকের মাঝে পোস্টটি স্ক্রিনশট দিয়ে অনেকেই লিখছেন তিনি মারা গিয়েছেন। এবং সোর্স হিসেবে আমার পোস্টের স্ক্রিনশট দিচ্ছেন। স্কিনশট না দিয়ে আমার পোস্ট শেয়ার করলে এই বিভ্রান্তি ছড়াতো না। বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হবার পরে আমি উল্লেখ করে দেই আমার পোস্টে যে আমার বাবা ২০২২ সালে মারা যান। উনি আমার বাবা নন। যতদূর জানি উনি বেঁচে আছেন। ধন্যবাদ।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে লোকটি মারা গিয়েছে। এদিকে এ গুজব ছড়ানোর জন্য ছাত্রলীগ নেতাকে দায়ী করছেন অনেকে।