রাশেদুল ইসলাম রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টার:: বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে চেয়ার-টেবিল থাকলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নগণ্য। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে একজন , সপ্তম শ্রেণিতে ৭ জন ও অষ্টম শ্রেণিতে ৪ জনসহ মোট ১২ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে। এদিকে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীর সংখ্যাও ১২ জন। অন্য দিকে কাগজে কলমে শিক্ষার্থী ভর্তি আছে ১৬০ জন। এছাড়াও বিদ্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায়নি প্রধান শিক্ষক কেএম সরোয়ার কায়েনাত কাজী লাবলুকে। সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ির ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নের কদমতলী নিম্ন ম্যাধমিক বিদ্যালয়ে।
অভিযোগ আছে,বিদ্যালয়টিতে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে গোপনে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ ৫ জনকে নবনিয়োগ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে নেই শিক্ষার পরিবেশ। ফলে দিন দিন শিক্ষার্থী শূন্যতা হয়ে পড়ছে বিদ্যালয়টি।
সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিদিন আমরা তিন থেকে চার জন ক্লাস করি। প্রত্যেক ক্লাসেই তিন-চার জনের বেশি ছাত্র-ছাত্রী হয় না। কিছু ক্লাসে কোনো শিক্ষার্থীই নেই। স্যারেরা ক্লাস করিয়ে দুপুরের মধ্যেই ছুটি দিয়ে দেন। ফাঁকা ক্লাসে এভাবে লেখাপড়া করতে ভালো লাগে না।
অষ্টম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এই স্কুলের বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীই গরিব পরিবারের। এজন্য লেখাপড়ার প্রতি তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না পরিবার। আবার স্কুল থেকেও তেমন একটা চাপ দেওয়া হয় না। এই কারণেই দিন দিন স্কুলের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক জানান, বিদ্যালয়ে ১০-১২ জনের বেশি ছাত্র-ছাত্রী আসে না। তাছাড়া শিক্ষার মান একেবারে ভালো না। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আনতে অভিভাবক সমাবেশসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় তদারকির কথা জানান অভিভাবকরা।
মোবাইল ফোনে কথা হয় কদমতলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেএম সরোয়ার কায়েনাত কাজী লাবলু'র সঙ্গে। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের কাজের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে আছি। আজ আর বিদ্যালয়ে ফিরব না।
পলাশবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাতাব হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক অফিসে এসেছিলেন তিনি বিদ্যালয়ে ফিরে গেছেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিস্তারিত প্রধান শিক্ষক বলতে পারবেন।
বিদ্যালয়টির শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আনতে জেলা ও বিভাগীয় শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাগণের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন নাগরিক ও এলাকাবাসী।