দায়িত্ব গ্রহণের ৫ দিনের মধ্যে পদত্যাগ করেছেন পেরুর অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল মেরিনো। রোববার (১৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে রাজধানী লিমা থেকে সম্প্রচারিত এক টেলিভিশন ভাষণে ম্যানুয়েল মেরিনো পদত্যাগের ঘোষণা দেন। খবর আল জাজিরা।
এর আগে, তার পদত্যাগ চেয়ে রাতভর বিক্ষোভে পুলিশি হামলায় দুই জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন কয়েক ডজন।
এদিকে, ওই বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর জেরে প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল মেরিনোকে পদত্যাগ করতে হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
মেরিনোর পদত্যাগের ঘোষণার পরই পেরুর রাজধানীজুড়ে আনন্দ শুরু হয়ে যায়। গাড়িতে হর্ন বাজিয়ে আনন্দ করতে থাকে লোকজন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের প্রতি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুড়ে তার জবাব দেয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এ বিক্ষোভ দেশটির দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। প্রেসিডেন্ট ভিজকারাকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিশংসন করা হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ম্যানুয়েল মেরিনো। কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্ট তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। মূলত এর পর থেকেই ধীরে ধীরে উত্তাল হতে থাকে পেরু।
দুর্নীতির অভিযোগে অভিশংসিত পেরুর প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারার পক্ষে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন হাজারো সমর্থক। দেশটিতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ২৭ জন আহত হয়েছেন। পেরুর রাজধানী লিমাসহ কয়েকটি শহরে এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেশটির বিভক্ত কংগ্রেস ও প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল মেরিনোর নতুন সরকারের ওপর চাপ বাড়ছিল। শনিবার দুজন নিহত হওয়ার পরই ম্যানুয়েল মেরিনো সরে দাঁড়ালেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। এতে দোকানপাটের জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পেরুর সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভ দুই দশকের মধ্যে সর্ববৃহৎ।