মুহাম্মদ রাসেল উদ্দিন, কুড়িগ্রাম।। কুড়িগ্রামে মৃতপ্রায় ৬কিলোমিটার খাল পুনঃখনন কাজ পরিদর্শন ও দেশীয় পোনা মাছ অবমুক্ত করলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার বোয়ালের দাঁড়া হতে মোয়ামারী হয়ে বেরুবাড়ী সুইচ গেট পর্যন্ত "বোয়ালের দাঁড়া বিল" ৬কিলোমিটার খাল পুনঃখনন কাজ সরেজমিনে পরিদর্শণ এবং পুনঃখনন খালে দেশীয় পোনা মাছ অবমুক্ত তিনি।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রশিদ ও বিএমডিএ রংপুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্রকল্প পরিচালক) মো. হাবিবুর রহমান খান। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও বিএমডিএ নির্বাহী প্রকৌশলী কুড়িগ্রাম মশিউর রহমান। নাগেশ্বরী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর আহমেদ মাছুম। বিএমডিএ উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাগেশ্বরী মো. খাইরুল বাশার। খাল পুনঃখনন ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন লিটন, উল্লাস ও কোরবান আলী প্রমুখ।
পরিদর্শনকালে সচিব মহোদয়ের কাছে বেরুবাড়ী ইউপির বাহেজের ঘাট ও শালমারায় দুইটি নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয়রা।
পরিদর্শনকালে নাগেশ্বরী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান জানান, বোয়ালের দাঁড়া হতে মোয়ামারী হয়ে বেরুবাড়ী সুইচ গেট পর্যন্ত খাল পুনঃখনন ৬কিলোমিটার কাজ শেষ হওয়ায় পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বৃষ্টি বন্যায় পানি নামতে পথ সুগম হবে। জলাবদ্ধ দূর হয়ে কৃষিজমি চাষাবাদের উপযোগী এবং সঞ্চিত পানি কৃষি জমিতে সেচ কাজ ব্যবহারিত হবে। ২৫টির অধিক গ্রামের মানুষ এর সুফল পাবেন।
পরিদর্শন শেষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ খাল পুনঃখনন কাজ শেষ হওয়ায় পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ও অতি বৃষ্টি-বন্যায় পানি নিষ্কাশনের পথ সুগম হবে, জলাবদ্ধ দূর হয়ে কৃষিজমি দ্রুত চাষাবাদের উপযোগী হয়ে উঠবে, সঞ্চিত পানি কৃষি জমিতে সেচ কাজে ব্যবহারিত হবে পাশাপাশি হাঁস ও মাছ চাষসহ গৃহস্থলী কাজে ব্যবহার হবে। পাশাপাশি বাহেজের ঘাট ও শালমারায় দুইটি নতুন ব্রিজের ব্যবস্থার করণে আশ্বাস দিয়েছেন।