নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজারে আবারও দখলদারদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবু কাউছার আহামেদ ও কিছু অসাধু প্রশাসনিক কর্মকর্তার মদদে কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য চলছে। সম্প্রতি তাঁর একটি অডিও ফাঁস হয়েছে।
ফাঁস হওয়া অডিও কলে শোনা যায়, আবু কাউছার চাঁদার জন্য সোহান নামে এক এনজিও কর্মীকে অশালীন ভাষায় গালাগালি করছেন। সেখানে তিনি আরও বলেন, “আমি নিজেই আদালত। ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ছিল, তাই কিছু বলিনি। এখন বিএনপি ক্ষমতায়, আমি যা বলবো তাই হবে!”
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের জেলা পরিষদের একমাত্র যাত্রী ছাউনির জায়গা দখল করে তিনটি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে এবং সেগুলো ১৫ হাজার টাকা মাসিক ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাজারের প্রতিটি দোকান থেকেই চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে আবু কাউছারের বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে যুবদল নেতা আবু কাউছার আহামেদ বলেন,“আমার ভাই দোকানগুলো লিজ নিয়েছে। চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, “বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী বলেন, “দখলের বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু আবারও অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এমনকি জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনির মধ্যেও অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”