স্টাফ রিপোর্টার:: আওয়ামী লীগের নেতারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ষড়যন্ত্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সৃষ্টি করতে চাইলে বিএনপিকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। বিএনপি ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছে। এ কর্মসূচিতে তারা যদি কোনো নাশকতা করে তাহলে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। বিএনপিকে প্রতিহত করতে দলের নেতাকর্মীকে লাঠি হাতে মাঠে আসতে হবে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি উন্নয়ন সমাবেশে এসব কথা বলেন নেতারা। শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেন, বিদেশিরা নাকি বিএনপিকে সাহস দিচ্ছে। দেশের জনগণের ওপর তাদের বিশ্বাস নেই। তাই বিদেশিদের ওপর, পিটার হাসের ওপর তাদের ভরসা। বিএনপি যেন রাজপথ দখল করতে না পারে এজন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি ২৮ তারিখের পরে যদি মাঠ নামে এমন পেঁদানি দিমু, পালানোর পথ পাবে না। বিএনপিকে প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে হবে।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের বাইরে এক চুল যাওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করতে বিএনপি অস্ত্র সংগ্রহ করছে। তারা অস্ত্র দিয়ে দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সৃষ্টি করতে পারে না। তাই নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, বিএনপিকে আর ছাড় দেওয়া যাবে না। বাংলার মাটি থেকে তাদের উচ্ছেদ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপির নেতারা খুনি। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান তাদের দলের নেতৃত্ব দেওয়া সবাই খুনি। তারা খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। দেশের মধ্যে ষড়যন্ত্র করার জন্য আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দেশের মধ্যে শান্তি উন্নয়ন অগ্রগতি তাদের ভালো লাগে না। বিএনপি যদি দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাহলে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
আব্দুর রহমান বলেন, বিএনপি ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছে। তাদের প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগের ১০ লাখ লোক মাঠে থাকবে। সেখানে সবাই বিএনপিকে প্রতিহত করতে লাঠি হাতে আসবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।