গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা পৌরসভার গোডাউন রোডে বাড়ির জন্য জমি কিনে বিপাকে পড়েছেন আলমগীর কবির নামে এক ব্যক্তি। সাড়ে দশ শতাংশ জমি কিনে দখল পেয়েছেন সাড়ে নয় শতাংশ। অন্যদিকে আব্দুল হাই নামে এক ব্যক্তি ৮ শতাংশ জমি কিনে ভোগ করছেন সাড়ে আট শতাংশ জমি। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সমঝোতা হলেও এক চুল পরিমান জমি ছাড়তে রাজি হননি আব্দুল হাই।
এ ব্যাপারে আলমগীর কবির জানান, আমি এই জায়গাটা ২০১১ সালে আব্দুর রাজ্জাক এবং তার স্ত্রী সাহেরা খাতুন ও তার চার ছেলে মেয়ের কাছ থেকে আমি জায়গাটা ক্রয় করি। এই বাউন্ডাড়ি দেওয়ালটাও আব্দুর রাজ্জাক সাহেব করেন। সেই সময় সাহেরা খাতুনের সাথে আব্দুল হাইয়ের একটি চুক্তিপত্র হয়। সেই চুক্তিপত্র অনুযায়ী উনি আমাকে একটা কাগজ দেয়। সেই কাগজে স্পষ্ট উল্লেখ আছে কার কতটুকু জায়গা। ওই কাগজ যদি না থাকতো তবে আমি আরও বিপদে পড়তাম।
আমার বিরুদ্ধে প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েছে যে, আমি ওনাদের জায়গা দখল করে আছি। সরেজমিনে প্রশাসনের লোকজন এসে দেখেছে এবং তারা বলেছে যে, আপনি রাইট আছেন। তারপরেও বাড়িতে কাজ করার সময় আব্দুল হাই গাইবান্ধা পৌরসভায় অভিযোগ করে। পরে পৌরসভা আমার কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে ইঞ্জিনিয়ারসহ এসে দেখে শুনে কাজের অনুমতি দেয়। পনের দিন পর তৎকালীন প্যানেল মেয়র ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জায়গাটি পরিমাপ করে। সেখানে দেখা যায় আব্দুল হাই মিয়ার প্রকৃত জমি ৮ শতাংশ জায়গা সঠিক আছে। তারপরেও সমাধান হওয়া বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে আবারও গাইবান্ধা পৌরসভার বর্তমান মেয়রের কাছে অভিযোগ করে। আগামী ৫ তারিখে বিষয়টি সমাধান হওয়ার কথা রয়েছে।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, আমি এই হয়রানী থেকে মুক্তি চাই। একটা সমাধান হওয়া বিষয় নিয়ে এত ঝামেলা আর ভাল লাগে না।
এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মিয়ার স্ত্রী খাতিজা আক্তার বানু বলেন, আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে, আমার সান সাইড কাটছে, আমার ছাদ ড্যাম হয়ে গেছে, আমার পুরাতন প্রাচীর থেকে নতুন প্রাচীর দিছে, সবার কাছে গিয়েছি আমি, কারো কাছে বিচার পাই নাই।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পৌরসভার তৎকালীন প্যানেল মেয়র ও বর্তমান কাউন্সিলর মহিউদ্দিন রিজু মুঠোফোনে বলেন, আমি বিষয়টির সরেজমিনে সার্ভেয়ার দিয়ে জায়গা মেপে দেখেছি মুক্তিযোদ্ধা হাই মিয়ার জায়গা আট শতাংশ জায়গা ঠিক আছে। বিষয়টি বর্তমান পৌর মেয়র জনাব মতলুবর রহমান দেখছেন। চলতি সপ্তাহে এটির সঠিক সমাধান হওয়ার কথা রয়েছে।