রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের একটি অংশের বিরোধিতার মুখে পড়া নৌকার আকাশে কালো মেঘ সড়েছে।দু-একজন এন্টি আ’লীগ বাদে দলের সকলেই নেমে পড়েছে নৌকার কাণ্ডারি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদদের পক্ষে।বিশেষ করে প্রচারণা শেষ হবার পূর্বের জনসভা ঘুরিয়ে দিয়েছে ভোটের সম্ভাব্য গতিপ্রকৃতি।একদিকে নৌকা প্রতীক,অন্যদিকে ব্যক্তি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ইতিবাচক ধারণার কারণে এই আসনে বেড়েছে নৌকার প্রতি সমর্থন।
আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও প্রগতিশীল বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,একসময়ে অশান্ত বাগমারা এ সরকারের আমলেই শান্ত হয়েছে।সাধারণ মানুষ নৌকাকেই বিশ্বাস করে।বাগমারায় ব্যাপক জনপ্রিয় তাহেরপুর পৌরসভার তিনবারের সফল মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।
উপজেলা তৃণমূল আ’লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, এ আসনে নৌকার কোনো বিকল্প নাই।এখানে নৌকার গণজোয়ার চলছে।নৌকার পালে হাওয়া লাগায় সেই হাওয়ায় গাঁ ভাসিয়ে দিয়েছে পুরো বাগমারাবাসী।বাগমারায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন পেয়েছে নৌকা।বিভিন্ন কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।
বাগমারার সাধারণ মানুষ বলছেন,এবার নৌকার মাঝি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে নৌকার পালে।উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে যেভাবে নৌকার সরকার এগিয়ে যাচ্ছে এতে জনসমর্থন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।এই বৃদ্ধিতে বাগমারায় নৌকার বিজয়ের পথ সুগম করেছে।
কথা বললে বাগমারা আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন,আমি একজন ভদ্র ঘরের সন্তান।আমার পেছনে কোনো কালির দাগ নেই।দেশের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমি লিখাপড়া করেছি।আমি ন্যায় নীতি ও আদর্শকে বিশ্বাস করি।সাধারণ মানুষের প্রতি রয়েছে আমার অগাধ বিশ্বাস ও প্রাণঢালা ভালোবাসা।এ কারণে তাহেরপুর পৌরবাসী আমাকে পরপর তিনবার মেয়র নির্বাচিত করেছেন। তাই আমি বিশ্বাস করি রোববার অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে আমাকে এমপি নির্বাচিত করবে।এ ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।
তিনি আরো বলেন,আমি এমপি নির্বাচিত হলে বাগমারায় কোনো প্রকার ঘুষ-দূর্নীতি থাকবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে দূর্নীতমুক্ত।স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক-কর্মচারীরা কোনো প্রকার টাকা-পয়সা ছাড়াই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাবেন। আপনারা একবার ভোট দিয়ে আমাকে এমপি নির্বাচিত করলে আমার সততা,আদর্শ ও ব্যবহারের প্রতি সন্তুষ্ঠু হয়ে আপনারা আজীবন আমাকে এমপি হিসাবে দেখতে চাইবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। জন্মলগ্ন থেকেই আমি আ.লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত।তাই আমি মনে করি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে বাগমারায় তৃনমূল আ.লীগের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন।এ কারণে আমার সঙ্গে রয়েছেন রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন,জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. পি.এম সফিকুল ইসলাম ও জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকিরুল ইসলাম সান্টুসহ বিভিন্ন ইউপির বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান-মেম্বর, শিক্ষক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা।এছাড়াও আমার সঙ্গে রয়েছেন তৃনমূল আ.লীগ,মহিলা আ.লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ ও ছাত্রলীগসহ সকল শ্রেণী পেশার সাধারন মানুষ।