স্টাফ রিপোর্টার:: ‘বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেই একই পরিস্থিতি ভারতেও তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেসের নেতা সালমান খুরশিদ। তার এই মন্তব্য ঘিরে দেশটিতে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কংগ্রেস নেতার এমন মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিজেপি। অভিযোগ তোলা হয়েছে, নির্বাচনে হেরে পিছনের দরজা দিয়ে অরাজকতা ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে কংগ্রেস।
সালমান খুরশিদ বলেন, কাশ্মিরে সবকিছু স্বাভাবিক মনে হতে পারে। এখানে সবকিছু স্বাভাবিক মনে হতে পারে। আমরা হয়তো বিজয় উদযাপন করছি। যদিও কিছু মানুষ বিশ্বাস করে, সেই বিজয় বা ২০২৪ সালের সাফল্য খুব বড় ছিল না। সম্ভবত আরও অনেক কিছু করা দরকার। তিনি বলেন, মূল বিষয় হলো সেখানে কিছু আছে।
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যা ঘটছে তা এখানেও ঘটতে পারে। আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ-প্রতিবাদকে যেভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে, সেই একই বিষয়ের বিস্ফোরণ ঘটেছে বাংলাদেশে। এখানেও বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’’
সালমান খুরশিদের ওই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং তাকে ‘‘নৈরাজ্যবাদী’’ নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন বিজেপি নেতারা। দলটির নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেছেন, কংগ্রেস পার্টি বলেছে, বাংলাদেশের ইস্যুতে তারা ভারত সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। কারণ এটি কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয় এবং এটি নিয়ে কোনও রাজনীতি করাও উচিত নয়। তবে তাদের নেতা সালমান খুরশিদ ভারতের জনগণকে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বাংলাদেশের বিষয়ে সালমান খুরশিদের মন্তব্যের বিষয়ে বলেছেন, কী বোঝানোর জন্য এমন মন্তব্য করেছেন তা আমি ব্যাখ্যা করতে পারবো না। তবে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলন গণতন্ত্রের গুরুত্ব এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বৃহত্তর বার্তা দিয়েছে।
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে তৈরি হওয়া প্রবল চাপের মুখে সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। পদত্যাগ করার পরপরই বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে গেছেন তিনি। বর্তমানে ভারতে অবস্থান করলেও বিশ্বের কয়েকটি দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের সরকারের পক্ষ থেকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সরকার শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করে দিয়েছে।