গাইবান্ধা প্রতিনিধি।। করমচা,টক স্বাদের ছোট আকৃতির মুখরোচক একটি ফলের নাম। লাল টকটকে ফল করমচা।দেখলেই জিভে পানি আসে।হালকা বৃষ্টিতে করমচা আর ও মোহনীয় রুপ ধারণ করেছে।কাঁটায় ভরা ফলটি গ্রাম থেকে এখন শহরেও চাষ করা হয়।অনেকেই বাসার ছাদে কিংবা বারান্দায় গাছ লাগায়।
এক সময়ের গ্রামে করমচার প্রচুর ফলন হতো।কিন্তু বন-জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করা এবং জমি কেটে ঘড়-বাড়ি নির্মাণ করার ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে করমচা।তাই সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়ের মাঠেরপাড় গ্রামের গাছ প্রিয় মানুষটি মাহাবুবার রহমান মবু করমচার চারাটি কয়েক বছর আগে দিনাজপুর থেকে কিনেছেন।তার বাড়িতে লাল করমচা এখন শোভা পাচ্ছে।
করমচা খুবই জনপ্রিয় টক জাতীয় ফল।কাঁটায় ভরা এ গাছ,পাতা ও ফলে নান্দনিকতার ছোঁয়া থাকায় অনেকে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যও এ গাছ রোপণ করে থাকেন।করমচার বৈঙ্গানিক নাম ক্যারিসা ক্যারোন্ডাম।কনটোরটি বিভাগে অ্যাপোসাইনেসি শ্রেণীর অন্তভুর্ক্ত করমচা ফলের আদি-নিবাস ক্যারোন্ডাস প্রজাতি ভারতবর্ষ, গ্রান্ডিফোরা প্রজাতির দক্ষিণ আফ্রিকা এবং এডুইলিস প্রজাতির মিসরে।তবে ভারতবর্ষে এসব প্রজাতির করমচা দীর্ঘ দিন ধরে চাষ হচ্ছে।বাংলাদেশেরর প্রায় সব জায়গায় সমতল ভূমিতে করমচা চাষ করা যায়।অ্যাপোসাইনেসি শ্রেনীতে ১৫৫ বর্ণের প্রায় এক হাজার গোত্রের করমচা গাছ দেখা যায়।
করমচা গাছ বেশ ঝোপতলা ধরনের শক্ত জাতের কাঁটাওয়ালা গুল্ম।বড় সাদা গোলাপি রঙ্গের সুমিষ্ট গন্ধযুক্ত করমচা ফুল দেখে কিছুটা কুন্ধ ফুলের মতো।এর ফলের রং কাঁচায় গাঢ় সবুজ,পাঁকায় লাল হয়। কোনো কোনো জাতের ফলের গায়ে খয়েরি দাগ থাকে।চেরি ফলের মতো দেখতে করমচা শাঁসালো,ভেতরে ছোট ছোট চার পাঁচটি বীজ থাকে।গাছ ও ফলে দুধের মতো আঠাল রস রয়েছে।ফেব্রুয়ারি মাসে গাছে ফুল আসে এবং ফল ধরে এপ্রিল-মে মাসে।এছাড়া বর্ষায় ফল পাঁকে।অনেক সময় আবার অনিয়মিত ভাবে কমবেশি প্রায় সারা বছরই করমচা ফলে।
করমচা গাছ গরম,আর্দ্র কিংবা শুষ্ক পরিবেশে ভালো জন্মে।এছাড়া বেলে-দোআঁশ বা হালকা মাটিতে করমচা জন্মাতে ভালোবাসে।অম্নমাটি অপেক্ষা কিছুটা ক্ষারভাবাপন্ন মাটি বেশি পছন্দ করে।