ঢাকাবুধবার , ৪ অক্টোবর ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বন্যায় বিপদ এড়াতে কি করবে উত্তরের নদীপারের বাসিন্দারা?

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
অক্টোবর ৪, ২০২৩ ১০:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাশেদুল ইসলাম রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টার: তিস্তার উজানে ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রচন্ড গতিতে তিস্তার বাংলাদেশ অংশে ধেয়ে আসছে পানি। এতে হু হু করে বাড়ছে নদীর পানি।

তিস্তার বাম ও ডানতীরের নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। এতে মৌসুমী ফসলসহ ক্ষেত ক্ষামারের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে সতর্কবার্তা দিয়ে বন্যা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। এছাড়াও মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয় নিতে ও সব রকম প্রস্তুতি নিতেও বলা হচ্ছে।

বন্যার সময় করণীয়:
আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও বন্যা এলে পরিস্থিতি এলোমেলো হয়ে যায়। ঘরবাড়ি সব তলিয়ে যায়। বন্যা পরিস্থিতি সামলাতে চাই দৃঢ় মনোবল। আকস্মিক বন্যার কবলে পড়লে কী করণীয় চলুন জেনে নেওয়া যাক।

শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য নিরাপদ স্থান: বন্যার পানি বাড়িতে প্রবেশ করলেই বাড়ির শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী, প্রতিবন্ধীদের দ্রুত বন্যামুক্ত নিরাপদ স্থানে কিংবা আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে রেখে আসুন।

জরুরি কাগজপত্র সংরক্ষণ: দলিল, সনদপত্র, লাইসেন্সের মতো প্রয়োজনীয় ও জরুরি কাগজপত্র একাধিক পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে বন্যামুক্ত এলাকায় কোনো আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিত ব্যক্তির কাছে রাখতে পারেন। বাড়ির উঁচু স্থানেও এসব কাগজ রাখা নিরাপদ নয়। কারণ যেকোনো সময় বন্যা বড় আকার বাড়তে পারে। পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রয়োজনীয় জিনিস উঁচু স্থানে: বাড়িতে উঁচু স্থান থাকলে দামী এবং পানিতে নষ্ট হয়ে যাবে এমন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সেখানে দ্রুত সরিতে রাখুন। উঁচু স্থান না থাকলে একটি উঁচু মাচা তৈরি করতে পারেন। চাইলে বন্যামুক্ত এলাকায় সরিয়ে নিতে পারেন।

বিশুদ্ধ পানি: বন্যা মোকাবিলায় সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য ব্যবহার করা। কারণ, বন্যায় অধিকাংশ রোগই পানি ও খাদ্যবাহিত। তাই বিশুদ্ধ পানি পান করা জরুরি। পানি ছেঁকে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে পান করুন। এই ব্যবস্থা না থাকলে ফিটকিরি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিয়েও পানি বিশুদ্ধ করা যায়।

প্রয়োজনীয় ওষুধ: এ সময় নোংরা পানি, আবহাওয়া, টানা বৃষ্টির কারণে নানা স্বাস্থ্যসমস্যা দেখা দেয়। সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় ডায়রিয়ার প্রকোপ। হাতের কাছে খাবার স্যালাইন রাখুন। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্যাভলন ও ব্যান্ডেজ রাখতে পারেন।

বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ: বন্যার পানি ধেয়ে আসলে ঘরের সকল বিদ্যুতের সুইচ এবং মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন। এতে বিদ্যুৎ ঘটিত সাম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।

আলোর ব্যবস্থা: দুর্যোগের মধ্যেই রাত কাটাতে হবে। তাই হাতের নাগালে দেশলাই, মোমবাতি, হারিকেন, টর্চ লাইট রাখুন।

বন্যার সময় মনোবল শক্ত রাখুন। নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান। নিরাপদে থাকুন। জিনিসপত্রের কথা ভেবে ঘরে থেকে যাবেন না। হঠাৎ পানির স্রোত বাড়লে বিপদে পড়বেন।

বন্যার আগে করণীয়:
বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে কিছু বিষয় আগে থেকেই মাথায় রাখতে হয়। পূর্ব প্রস্তুতি থাকলে বন্যাকালীন ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা হলেও এড়ানো যায়।

উঁচু করে বাড়ি তৈরি: বন্যায় নিচু এলাকা দ্রুত প্লাবিত হয়। তাই বাড়ি যতটা পারা যায় উঁচু করে তৈরি করুন। বন্যার সাম্ভাব্য উচ্চতা মাথায় রেখে মাটি কেটে ভিটা উঁচু করুন। বন্যার আগের ঘরের বেড়া মজবুত করে নিন।

গাছ লাগান: বাড়ির চারপাশে যত সম্ভব গাছ লাগান। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে গাছ উপকারি ভূমিকা রাখে। নদীর পাড়ে ঢেউ প্রতিরোধের জন্য ঢোল কমলি, কাশিয়া, দূর্বাঘাস ইত্যাদি ভাঙ্গন প্রতিরোধ গুল্ম লাগান।

খাদ্য সংরক্ষণ: বন্যার সময় খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। তাই আগে থেকেই কিছু শুকনো খাবার সংরক্ষণ করে রাখুন। চাল, ডাল, মুড়ি, চিড়া, শিশুদের গুঁড়া দুধ, বিস্কুটের মতো অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য হাতের নাগালে রাখুন। গবাদি পশু থাকলে তাদের খড়, ভুষিও সংরক্ষণে রাখুন। পাতিল বা মাটির কলসিতে খাবার রাখুন যেন বন্যার পানিতেও তা নষ্ট না হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন