মো: ইব্রাহিম আলী (বড়াইগ্রাম) নাটোর | নাটোরের বড়াইগ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিলন হোসেনকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৭ শে মার্চ রাত ৯:৩০ ঘটিকার সময় নগর বাজারে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংঘ ক্লাবের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নগর ইউনিয়ন ছাএলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন হোসেন নগর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংঘ ক্লাবের সামনে বসে রাত্রি ৯:৩০ ঘটিকার সময় মোবাইল ফোনে খবর দেখছিলেন। এ সময় নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু লোকজন নিয়ে কয়েন বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। মিলনকে দেখতে পেয়ে সেখানে মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে তাকে প্রশ্ন করে,কিরে মিলন তুই আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোগ্রামে কেন বক্তব্য দিস।মিলন বলে আমি যা বলি তা সত্য বলি,মিথ্যা কিছুই বলি না।এসময় বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ডালু চেয়ারম্যানের সহযোগী মোঃ রিয়াজুল ইসলাম মোহন, মিঠু সহ চার পাঁচজন মিলে মিলনকে মারপিট করে।মিলনের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ডালু ও তাঁর সহযোগীরা সেখান থেকে চলে যায়। এই ঘটনা নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডালু এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।ঘটনার তিন দিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত মঙ্গলবার (৩০শে মার্চ) বিকেলে নগর বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মানববন্ধনটি স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসিন আলী বলেন, নগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু দলে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিলন হোসেনকে মারপিট করেছে।প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, খুব গভীরভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
শুক্রবার এই বিষয়ে মুঠোফোনে নগর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত এস আই সাইফুল ইসলাম বললে তিনি বলেন, অভিযোগের কপি জিডি আকারে এন্ট্রি করে উচ্চ আদালতে পাঠিয়েছি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।