রাকিব হোসেন, ফেনী।। ফেনী পৌরসভা ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রথম শ্রেণির পৌরসভা।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে যারাই এ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন সবাই কমবেশি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। তবে, এর আগে কেউই একবারের বেশি কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে পারেননি।
জনগণ উন্নয়নের খাতিরে তাদের পছন্দ পরিবর্তন করেছেন।
এজন্য কাউন্সিলর দায়িত্বকে কালাম চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন।
তাই, এ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কে তিনি নতুন করে সাজাতে চান।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে এমন ইচ্ছার কথা জানান ফেনী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কালাম।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ এর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় উঠে আসে এ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে তার পরিকল্পনার আরও নানা দিক। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো:
প্রতিদিনের বাংলাদেশ : ফেনীর ৬ নং ওয়ার্ড কে নান্দনিক এলাকা পরিণত করতে আপনার কি পরিকল্পনা রয়েছে?
কালাম : দ্রুত অগ্রসরমান জেলা ফেনী। অর্থনীতি, শিল্প-সাহিত্য থেকে শুরু করে সব দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে এ জেলা। আর তাই জেলা শহর হিসেবে ফেনী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কে নান্দনিক রুপে গড়ে তোলা সময়ের দাবি। ইতোমধ্যে এলাকার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নানা প্রকল্পের কাজ চলছে। বিশেষ করে এলাকার বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সড়ক বাতি গুলোর কাজ চলছে।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ : এলাকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার আপনার ভূমিকা কেমন হবে?
কালাম: সাবেক কাউন্সিলর ফয়সাল এবং জননেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ সব কাউন্সিলর এ এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। জনগণ তাদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পেয়েছেন। এ ক্ষেত্রে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো উন্নয়নের সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার। এ ক্ষেত্রে এলাকাবাসীর সুচিন্তিত সব মতামত সানন্দে গ্রহণ করা হবে।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ : এ এলাকা নিয়ে আপনার স্বপ্ন কি ?
কালাম: আমি চাই ৬ নং ওয়ার্ড একটি অত্যাধুনিক এলাকা হিসেবে বাংলাদেশে রোল মডেল এলাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করুক।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ : এলাকাবাসীর মৌলিক চাহিদা শিক্ষাক্ষেত্রে আপনার কি পরিকল্পনা?
কালাম: এলাকাবাসীর মৌলিক চাহিদা শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। শিক্ষা বিস্তারে আমাদেরও নানা পরিকল্পনা রয়েছে। ফেনী পৌরসভা শিক্ষা বিস্তারে কাজ করে আসছে। পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে বেশ কয়েকটি স্কুল, মাদরাসা ও এতিমখানা পরিচালিত হচ্ছে।
এছাড়াও পৌরসভাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেনী পৌরসভা নিয়মিত সহযোগিতা দিয়ে আসছে। দুস্থ পথ শিশুদের শিক্ষার জন্য পরিকল্পনা হাতে রয়েছে এ পৌরসভার।তার পাশাপাশি আমি তো আছি।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ : সামান্য বৃষ্টি হলেই এলাকায় জমে যায় হাঁটু পানি, এলাকাবাসীকে পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি, এ জলজট নিরসনে কি প্রদক্ষেপ নেবেন?
কালাম: এ অবস্থা নিরসনে ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে আমার। এ জন্য পৌরসভার দখল হওয়া খালগুলো মুক্তকরণ, খনন এবং নিয়মিত পরিষ্কার করা যাবে। নাগরিক ভোগান্তি নিরসনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে পৌর কর্তৃপক্ষ ও আমি।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ : স্বাস্থ্য ও সেনিটেশনের জন্য কি পরিকল্পনা রয়েছে?
কালাম: এখানে বসবাসরত প্রত্যেকটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ফেনী পৌরসভা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কাজ করছে। দুস্থ ও অসহায় মানুষের চিকিৎসা প্রদানে সহযোগিতা, বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করে আসছে। এছাড়াও শতভাগ সেনিটেশনের লক্ষে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাবো।তার পাশাপাশি গরিব অসহায় মানুষের পাশে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পাশে ছিলাম এবং থাকবো ইনশাল্লাহ।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ : এলাকায় সন্ত্রাস চাঁদাবাজি দূর করতে কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন কি?
কালাম: এলাকাবাসীর সবার ঘরে ঘরে গিয়ে বলেছি আপনাদের কারো কাছে কেউ যদি কখনো চাঁদা দাবি করে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানাতে,এবং যারা নতুন জায়গা কিনে ৬ নং ওয়ার্ডে ঘর করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য বলেছি কেউ ওয়ার্ডে চাঁদাবাজি করতে পারবেনা,প্রয়োজনে আমি স্টাম্প দিবো এলাকাবাসীকে আমার ওয়ার্ড থাকবে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ : কত দিন আগ থেকে কাউন্সিলর হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন?
কালাম: আমি কখনও কাউন্সিলর হওয়ার স্বপ্ন দেখিনি। তবে, সবসময় এলাকাবাসীর সুখে দুঃখে কাছে থাকার চেষ্টা করেছি। আল্লাহ ইচ্ছে ও জননেতা নিজাম উদ্দিন হাজারী চেয়েছে তাই হয়েছি। আল্লাহ আমাকে দিয়ে হয়তো এলাকাবাসীর সেবা করাবেন। তাই তিনি আমাকে কাউন্সিলর হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ : পরের নির্বাচনে লড়বেন কিনা ?
কালাম: পদের প্রতি আমার কখনও লোভ ছিল না। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা নিজাম উদ্দিন হাজারী যদি আমাকে ৬ নং ওয়ার্ডের জন্য পুনরায় যোগ্য প্রার্থী মনে করেন তাহলে আবার লড়বো।