কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ১৪৯ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শোভা পাচ্ছে দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার। এক বছর আগেও কোন প্রতিষ্ঠানে ছিলনা শহীদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের ব্যবস্থা। কিন্তুু বর্তমানে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শহীদ মিনার নির্মিত হওয়ায় শহীদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনে অনিশ্চিয়তা কেটেছে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের।
জানা গেছে, উপজেলার ১৪৯ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মানের অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুজ্জামান। যোগদানের পর থেকে তিনি তার অধীনস্থ ক্লাস্টারের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনা দিয়ে শহীদ মিনার নির্মানে আগ্রহী করে তোলেন। ফলশ্রুতিতে এক বছরের মধ্যে ফুলবাড়ী ক্লাস্টারের ২৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটি ও স্থানীয়দের অনুদানে নির্মিত হয় দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার। তা দেখে অন্যান্য ক্লাস্টারের প্রধান শিক্ষকরাও অনুপ্রাণিত হন। শুরু হয় গোটা উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মান কার্যক্রম। বর্তমানে উপজেলার ১৪৯ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মান কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলার নাওডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাদা খন্দকার জানান, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুজ্জামান স্যারের অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনায় ব্যবস্থাপনা কমিটি, স্থানীয় জনগন ও শিক্ষকদের অনুদানের সাথে সরকারী বরাদ্দের সামান্য অংশ মিলিয়ে শহীদ মিনার নির্মান করা হয়েছে। এখন থেকে ১৬ ডিস্বেম্বর, ২১ শে ফেব্রুয়ারি ও ২৬ শে মার্চ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরাসহ এক সাথে পালন করতে পারবো।
এ প্রসঙ্গে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আশরাফুজ্জামান জানান, যোগদানের পর থেকেই আমি এ ব্যাপারে শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করতে থাকি। প্রথমে তারা নানা অজুহাতে দেখাতো। তবে হাল ছাড়িনি। পরে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ফুলবাড়ী ক্লাস্টারের শিক্ষকরা আগ্রহী হলে ২৯ টির মধ্যে ২৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মিত হয়। স্থান সংকুলান না হওয়ায় একটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মান সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আকবর কবীর জানান, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুজ্জামানের উদ্যোগে ফুলবাড়ী ক্লাস্টারের সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মানের পর গোটা উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু হয়। আশা করছি আসন্ন বিজয় দিবসে উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা নিজ নিজ মাঠে নির্মিত শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করতে পারবে।