এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি ।
পৃথিবীর দেশে দেশে সৃজনশীল সৃষ্টিকর্মের কপি বা পুনরুৎপাদনের, অবৈধ ব্যবহার ইত্যাদি বন্ধনের জন্য যে আইনের বিধান রাখা হয় তাকে কপিরাইট (Copyright) আইন বা সংক্ষেপে কপিরাইট বলে।
বাংলাদেশে কপিরাইট আইন প্রথম তৈরি হয় ১৯৭৪ সালে। কিন্তু এরপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সিডি, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদির কারণে সৃষ্টিশীলতা ও কপিরাইট ধারণারও বদল হয়েছে।
পরবর্তীতে ২০০০ সালে নতুন একটি কপিরাইট আইন করা হয়, যা পরে ২০০৫ সালে সংশোধন হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম প্রতিবেদক’কে বলেছেন, “এই আইনে কোনো লেখা, ছবি, সাহিত্যকর্ম, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, শিল্পকর্ম ও সাউন্ড রেকর্ডিং কপিরাইট আইনের অন্তর্ভুক্ত বিষয়”।
বাংলাদেশে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনে কি ধরনের শাস্তি আছে ;জানতে চাইলে তিনি বলেন, “চলচ্চিত্র বাদে চারটি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চার বছরের জেল ও দু লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণ পাঁচ বছরের জেল”।
বাংলাদেশের রেজিস্টার অফ কপিরাইটস জাফর আর চৌধুরী বলছেন, এই আইনে প্রতিকার পেতে হলে তাকে মেধা সম্পদটির অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে।
কপিরাইট আইন কি?
কপিরাইট (Copyright) একটি ইংরেজী শব্দ। কপিরাইট শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ গ্রন্থস্বত্ব বা লেখস্বত্ব। একজন লেখকের রচিত পুস্তক বা গ্রন্থের ওপর তার মুদ্রণ, পুন:মুদ্রণ ও প্রকাশের অধিকারকেই বলা হয় কপিরাইট। কপিরাইট আইন একটি একচেটিয়া, বৈধ ও নিশ্চিত অধিকার, যা একজনের বুদ্ধিবৃত্তিক বা মস্তিস্কজাত সৃষ্টিকে নকল বা পাইরেসি (Piracy) বা অন্যায় অনুসরণ হতে অন্য কাউকে বিরত রাখে। কপিরাইটের মাধ্যমে সাহিত্য, শিল্পকর্ম ও অন্যান্য শিল্পকলা সৃষ্টিকারীকে তার সৃষ্ট মেধাসম্পদ ব্যবহারের একচ্ছত্র অধিকার প্রদান করা হয়। গল্প, নাটক, প্রবন্ধ, কবিতা, জাতীয় সাহিত্যকর্ম, চিত্রকর্ম, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, ভাস্কর্য, স্থাপত্যকলা, কপিরাইট দ্বারা সংরক্ষিত হয়। কম্পিউটার সফটওয়্যারও কপিরাইট দ্বারা সংরক্ষিত হয়। কপিরাইট আইনের কারণেই কোন নির্মাতা, শিল্পী, প্রােগ্রামার কিংবা লেখক তাদের মেধার সঠিক মূল্যায়ন পেয়ে থাকেন। আর কপিরাইট আইনের কার্যকারিতা সৃজনশীল কর্মীদের নিরুৎসাহিত হওয়া থেকে রক্ষা করে।
❏ প্রতিদিনের বাংলাদেশ ▪️ সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © protidiner-bd.com