তাহমিনা আক্তার।। ১৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এর আগে এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ২০ টাকা কেজি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজের দাম বাজারে স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে এসেছে। এ কারণে ২০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি কম হচ্ছিল। তাই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
দাম কমার পর দেখা গেছে, টিসিবির পেঁয়াজের দাম বাজারের দেশি পেঁয়াজের তুলনায় অর্ধেক। এরপরও ক্রেতাদের চাহিদা কম। কয়েক দিন আগেও ট্রাকের সামনে লম্বা লাইন দেখা গেলেও এখন আর নেই। অনেক স্থানেই ডেকে ডেকে পেঁয়াজ বিক্রির চেষ্টা করছেন পরিবেশকরা।
হাঁকডাকে দু-একজন ক্রেতা এলেও তাদের আগ্রহ ডাল অথবা তেলে। কিন্তু পরিবেশকদের শর্ত শুনেই ফিরে যাচ্ছেন বেশিরভাগ ক্রেতা। কারণ নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ না নিলে অন্য কোনো পণ্য বিক্রি করছেন না পরিবেশকরা। অর্থাৎ যেকোনো পণ্য কিনলে সঙ্গে পেঁয়াজ নিতে বাধ্য করছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুরা এলাকার টিসিবির ডিলার মাসুদ পারভেজ বলেন, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে অন্য পণ্যের সঙ্গে পেঁয়াজও বিক্রি করার চেষ্টা করছি। পেঁয়াজ নিয়ে আমরা লোকসানে পড়েছি। বরাদ্দের পেঁয়াজ শেষ না হলে টিসিবি থেকে অন্য পণ্য দেয়া হচ্ছে না।
পেঁয়াজের পাশাপাশি টিসিবির ট্রাকে মাঝারি দানার এক কেজি ডালের দাম ৫০ টাকা, যা বাজারের চেয়ে ৩০ টাকা কম। পাঁচ লিটারের এক বোতল তেলের দাম ৪০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে ক্রেতার সাশ্রয় ১৫০ টাকার মতো। এছাড়া এখন নেই চিনির সরবরাহ। অন্যদিকে অধিকাংশ ট্রাকসেলে তেল পাওয়া যায়নি।
সেক্ষেত্রে ডালের সঙ্গে আড়াই কেজি এবং যেসব পরিবেশকের কাছে তেল রয়েছে তারা কমপক্ষে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ গছিয়ে দিচ্ছেন। এ জন্য ওই সব পণ্যও বিক্রি কমে গেছে।
জানতে চাইলে আরেক ডিলার মনসুর আলী বলেন, প্রতিদিন আড়াই টন করে বরাদ্দ পাচ্ছি। কিন্তু বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৪০০ কেজি, যা অবিক্রীত থেকে যায়, তা কয়েক দিনে বিক্রি করি। বরাদ্দ পাওয়া পেঁয়াজ পুরোটা বিক্রি করতে সময় লাগছে। এ সময়ের মধ্যে কিছু পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বরাদ্দের পেঁয়াজ বিক্রি না হলে টিসিবি অন্য পণ্য সরবরাহ দিচ্ছে না বলেও জানান তিনি।