তাহমিনা আক্তার,ঢাকা:: দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষায় গাইড বইয়ের প্রশ্ন হুবহু ফটোকপি করে সেই প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকার ধামরাই উপজেলায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ওদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ভোকেশনাল শাখার রসায়নবিজ্ঞান-২–এর (সৃজনশীল) পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, গত মঙ্গলবার ভোকেশনাল শাখার রসায়নবিজ্ঞান-২–এর (সৃজনশীল) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় সরবরাহ করা প্রশ্নপত্রের প্রতিটি প্রশ্নের নিচে উত্তরের পৃষ্ঠা নম্বর লেখা দেখতে পায় শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা ‘সিসটেক টেকনিক্যাল পাবলিকেশন্স’ নামে একটি গাইড বইয়ের প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষায় সরবরাহ করা প্রশ্নের হুবহু মিল দেখতে পায়।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ফিরোজ আল মামুন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম প্রশ্নপত্রটি তৈরির দায়িত্বে ছিলেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষকদের কাছে যারা প্রাইভেট পড়ে, তাদের সুবিধা করে দিতে এভাবে প্রশ্ন করা হয়েছে। তবে শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে বলেন, ভুল করে গাইড বইয়ের একটি অংশ থেকেই প্রশ্ন করা হয়েছে। তবে গাইড বইয়ের প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ায় খুব বেশি ক্ষতি হয়েছে, এমন নয়।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে শিক্ষক ফিরোজ আল মামুন জানান, ‘জাহাঙ্গীর স্যার ওই বিষয়ে ক্লাস নেন। প্রশ্নপত্র তৈরির বিষয়টি তিনিই দেখেছেন। এখানে অযথাই আমাকে জড়ানো হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে ওদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক জানান, গাইড বই থেকে হুবহু প্রশ্ন ফটোকপি করে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি জেনেছি। অভিযোগটি পাওয়ার পর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী এক কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।