ঢাকামঙ্গলবার , ১৬ জানুয়ারি ২০২৪
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পূর্ব সাপটানা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাড়ে ৯৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জানুয়ারি ১৬, ২০২৪ ৭:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট: লালমনিরহাট সদর উপজেলার পৌরসভাধীন পূর্ব সাপটানা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম সারোয়ারের বিরুদ্ধে-৯৩ হাজার ৬শ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

আর এ ঘটনায় (১৬ জানুয়ারী) ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি শফিকুল ইসলাম জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

জানা যায়,১৯৯২ ইং সালে লালমনিরহাট শহরের পৌরসভাধীন পূর্ব সাপটানা উচ্চ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। স্থাপিত হওয়ার পর থেকে বেশ সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু, উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে গোলাম সারোয়ার যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে বেশকিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

লালমনিরহাটের পূর্ব সাপটানা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৪ ইং সালের শিক্ষাবর্ষে নতুন ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। এতে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন ছাত্র/ছাত্রী প্রায় ৮০ জন ভর্তি হয়। এতে, প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রীদের নিকট থেকে সেশন ফি বাবদ ১ হাজার ১শ ৭০টাকা করে আদায় করেন। ফলে ৮০ জন ছাত্র/ছাত্রীর নিকট থেকে ৯৩ হাজার ৬শ টাকা আদায় করে বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাবে না রেখে প্রধান শিক্ষক গোলাম সারোয়ার আত্মসাত করেছেন। উক্ত বিদ্যালয়ের নির্বাচিত সভাপতি শফিকুল ইসলাম বার বার প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ের টাকা ব্যাংকে রাখার জন্য বললেও তিনি কোন কর্নপাত করেননি।

ফলে, নিরুপায় হয়ে সভাপতি জেলা শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

পূর্ব সাপটানা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম সারোয়ার বলেন, এখন পর্যন্ত কোন টাকা আমি ব্যাংকে জমা দেই নাই। নিজের কাছে জমা রেখেছি। পরে জমা দিবো। আর বেশি কিছু বলতে পারবো না বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে পূর্ব সাপটানা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক গোলাম সারোয়ার বলেন,ইতিপূর্বেও তিনি প্রতিষ্ঠানের অনেক টাকা হিসাব না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এবারও তিনি টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে ভর্তির টাকা নিজের কাছে রেখেছেন। প্রতিষ্ঠানের টাকা ব্যাংকের একাউন্টে জমা না দেয়া একটা বড় ধরনের অপরাধ।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভর্তির টাকা নিজের কাছে রাখার কোন সুযোগ নেই। আর এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি নিজেই লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন