লালমনিরহাটে পূর্ব বিরোদের জেরে মাইদুল ইসলাম (২৪) নামের এক যুবকে মারধর ও তার স্ত্রী রহিমা বেগম (২১) এর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে যানাগেছে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের পূর্বগুড়িয়াদহ গ্রামের মোহাম্মদ আমিরের ছেলে মাইদুল ইসলামের সাথে হাড়িভাংগা গ্রামের মৃত ছাবেদ আলীর ছেলে মোজাম্মেল হক (৩০) এবং পূর্বগুড়িয়াদহ গ্রামের মনতাজ আলীর ছেলে হাবিব, মৃত আবদার আলীর ছেলে দুলাল (৪৮) দুলালের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২০)ও সাকিবুল ইসলাম (২০) এর সাথে বেশ কিছু দিন থেকে বিরোধ চলে আসছিলো। গত ১৯ নভেম্বর বৃহষপতিবার আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে পূর্বগুড়িয়াদহ গ্রামের ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন এনামুলের মুদির দোকানের সামনে যাওয়া মাত্র অভিযুক্ত দুলাল ও তার দুই ছেলে সিরাজুল ও সাকিবুলের সাথে থাকা লাঠি, সোটা দিয়ে মাইদুলকে বেধরক মারপিট করতে থাকে। এমন সময় মাইদুলের স্ত্রী রহিমা স্বামীকে বাচানোর জন্য এগিয়ে গেলে দুলাল রহিমার চুলের মুটি ধরে মাটিতে ফেলে চর থাপ্পর মারতে থাকে এবং তার পরিহিত কাপড় টানা হেচরা করে তার শ্লীলতাহানি ঘটায়। এর আগে গত ১৪ নভেম্বর আনুমানিক দুপুর ১ টার দিকে উল্লেখিত ঐ বিবাদীগন লাঠি সোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মাইদুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে দুলালের হুকুমে মোজাম্মেল হক তার কমরে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য মাথা বরাবর আঘাত করলে মাইদুল তার বা হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে হাতের কনিষ্ঠ আংগুলের মাথা থেকে এক অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যায়। বর্তমানে মাইদুল লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহ আলমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্তা গ্রহন করা হবে।