গাইবান্ধা পৌরসভা নির্বাচনে দিনভর শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে র্যাব-পুলিশের উপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর-অগ্নি সংযোগের ঘটনায় এবার অভিযোগের তীর নব নির্বাচিত এক কাউন্সিলরের দিকে। রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইউনুস আলী শাহীনের পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনায় অভিযোগের তীর ছোড়েন একই ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির স্বপনের দিকে।
তাদের দাবি, কাউন্সিলর স্বপনের ইন্ধনেই গত ১৬ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ শেষে পূর্ব কোমরনই এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
তাদের অভিযোগ, কোনো তদন্ত ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর ইউনুস আলী শাহীনসহ তার কর্মী-সমর্থক ও অসহায় পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা ও পরিবারের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। ইউনুস আলী শাহীনের পরিবারের পক্ষ থেকে বৃদ্ধা মা লাইলী বেগম, মেয়ে শামছুন্নাহার সীমা ও ভাতিজি আফসানা আকতার শান্তা সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শামছুন্নাহার সীমা লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, গাইবান্ধা পৌরসভার বিগত নির্বাচনে ইউনুস আলী শাহীন বিপুল ভোটে পরপর দুবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। এবারের পৌর নির্বাচনের আগে থেকেই তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হুমায়ুন কবির স্বপন ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা ইউনুস আলী শাহীনকে নানাভাবে হয়রানিসহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করছিল।
তারা বলেন, ওই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় পরিকল্পিতভাবে ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কোন রকম তদন্ত ছাড়াই শাহীনের বেশ কয়েকজন নিকট আত্মীয়কে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় শাহীনসহ তার কর্মী-সমর্থক ও পরিবারের সদস্যদের নাম উল্লেখ করে পুলিশ ও র্যাব পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। এতে এজাহারে ৪১ জনসহ অজ্ঞাতনামা প্রায় দেড় শতাধিক মানুষকে আসামি করায় এলাকার মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। মামলার পর ওই এলাকা এখন প্রায় পুরুষ শূন্য।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, র্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রকৃত অপরাধীদের নামের তালিকাসহ পূর্ণ বিবরণ লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও তারা কোন প্রতিকার পাননি।