মো: ইয়াছিন আলী শেখ,পাবনা : ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ার শেখ রাসেল স্মৃতিসংঘে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ছবি ভাঙচুর করা হয়।
শুক্রবার (২৮ মে) রাতে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়নের খারজানিতে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ক্লাবে সংরক্ষিত পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘড়িয়া) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাসের নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয় এবং ক্লাবের চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। আল-আমিন (১৮) নামে এক যুবককে মারধর করা হয় বলেও জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান, খারজানির পাশের গ্রাম কামালপুর মৃধাপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মুকুলের সঙ্গে কামালপুর হঠাৎ পাড়ার বারেক হোসেনের ছেলে লিমনের শুক্রবার সকালে খারজানি মোড়ে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। এঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাত ৮টায় লিমন ২৫-৩০জন সঙ্গে নিয়ে খারজানি মোড়ে মুকুলকে খুঁজতে থাকে।
একপযায়ে খারজানি মোড়ে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘে মুকুলের আত্মীয় আল-আমিনকে দেখতে পায় লিমন। এসময় তারা শেখ রাসেল সংঘের ভিতরে ঢুকে আল-আমিনকে মারধর করে। এরপর হঠাৎ করেই হামলাকারীরা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি, চেয়ার,টেবিল, আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
স্থানীয় বাসিন্দা যুবলীগ নেতা শরীফ আহম্মেদ রুমন বলেন, হামলাকারী মিজান, মন্টু, কালাম ও লিমনসহ সবাই এলাকার ছেলে। তারা শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘে হামলা চালিয়েছে, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
খারজানি গ্রামের বাসিন্দা ও শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘের প্রধান পৃষ্টপোষক বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকপ্রাপ্ত খামারী আকমল হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। ব্যক্তিগত তর্কাতর্কির ঘটনার জের ধরে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘে হামলা চালাতে পারে না। এর পেছনে রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, আজ (শনিবার) বিকালে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে বৈঠকে বসবেন। এরপর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।