স্টাফ রিপোর্টঃ ঢাকার সাভারে নুর ইসলাম বেপারী হত্যা রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে দ্বিতীয় স্ত্রী ইতি বেগম ওরফে রানী ও তার পরকীয়া প্রেমিক আব্বাস আলীর পরিকল্পনাতেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় নুর ইসলাম বেপারীকে।
সোমবার দুপুরে সাভার মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম, সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নুর ইসলামের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিতেন তার স্ত্রী স্বাস্থ্যকর্মী ইতি। খাবার খেয়ে নুর ইসলাম যখন গভীর ঘুমে থাকতেন, তখন পরকীয়া প্রেমিক আব্বাসকে ডেকে আনতেন ইতি। এভাবেই আব্বাসের সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিলেন ইতি।
তবে একদিন ঘুমের ওষুধের মাত্রা কম হওয়ায় ঘুম ভেঙে যায় নুর ইসলামের। পরকীয়া প্রেমিক আব্বাসসহ ইতি হাতেনাতে ধরা পড়েন স্বামীর কাছে । আর এ ঘটনাই শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়ায় নুর ইসলাম ব্যাপারীর জন্য। মাথায় তালা দিয়ে আঘাত করার পর বটি দিয়ে উপর্যুপুরি কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, পআসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি, তালাসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছে পুলিশ। আদালতে তারা উভয়েই দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, গত ২৬ জুন রাত পৌনে দশটায় সাভার মডেল থানার সাধাপুর গ্ৰামের ভাঙা ব্রিজসংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় নুর ইসলাম বেপারীর রক্তাক্ত মরদেহ। ঘটনায় পারিপার্শ্বিকতায় নিহতের স্ত্রীর নিলিপ্ত আচরণ দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা করতে ইতি বলেন, তার স্বামীকে হত্যা করেছেন আব্বাস আলী।
ওসি বলেন, পরে পুলিশ আব্বাস আলীর বাড়িতে গিয়ে তাকে আটক করার পর বেরিয়ে আসে খুনের রহস্য। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় হত্যা মামলা করেছেন নিহতের প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলে আলিম বেপারী।