ঢাকারবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পথের তৃষ্ণার্তদের পাশে স্যালাইন পানি নিয়ে গাইবান্ধার প্রকৌশলী কল্যাণ সংস্থা

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ১০:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: প্রতিদিনই উর্ধ্বমুখী হচ্ছে তাপমাত্রার পারদ। তীব্র তাপদাহে পুড়ছে পুরো দেশ। গরমে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে বের হচ্ছনা কেউই। তবে, খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা পেটের তাগিদে অনেকটা বাধ্য হয়ে তপ্ত রৌদ্রেও বের হচ্ছেন কর্মে। এছাড়া সংখ্যায় কম হলেও বিশেষ কোনো প্রয়োজনে বের হচ্ছেন সকল শ্রেণি পেশার মানুষজনও।

পিপাসা নিবারণে পথের এমন তৃষ্ণার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘গাইবান্ধা প্লানার্স এন্ড ডিজাইনার্স প্রকৌশলী কল্যাণ সংস্থা’। তারা তৃষ্ণার্ত সকল শ্রেণি পেশার মানুষদের স্যালাইন মিশ্রিত পানি পানের মাধ্যমে পিপাসা নিবারণে রাস্তায় নেমে পড়েছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে খাবার স্যালাইন মিশ্রিত বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি বিতরণের এই কার্যক্রম শুরু করে’ গাইবান্ধা প্লানার্স এন্ড ডিজাইনার্স প্রকৌশলী কল্যাণ সংস্থা’। যতদিন এমন অতি তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে কিংবা বৃদ্ধি পাবে ততদিনই এই স্যালাইন মিশ্রিত ঠান্ডা পানি বিতরণের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ সংস্থার সদস্যরা।

উদ্বোধনী কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন, সংস্থাটির সভাপতি রোকন-উদ-দোলা, সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক, ফরমান আলী, চমক কুমার সরকার, ফজলে রাব্বি, শিমুল কুমার সরকার, সাকিল আহমেদ। এছাড়া গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী এএসএম আরিফ বিল্লাহ্।

এদিন তৃষ্ণার্তদের পানি বিতরণ কার্যক্রমে দেখা গেছে, ভ্যানে করে ৫০০ লিটার একটি পানির ট্যাংক পানি ভর্তি করে ভ্যানে নিয়েছেন তারা। যারমধ্যে মেশানো হয়েছ ১ হাজার প্যাকেট খাবার স্যালাইন। সংস্থার প্রত্যেক সদস্যের গায়ে লোগো সম্বলিত সাদা গেঞ্জি ও হাতে হ্যান্ড গ্লাভস পড়ে ওয়ান টাইম গ্লাসে করে এই পানি বিতরণ করছেন তারা। এসময় ওই পথ ধরে হেঁটে কিংবা যানবাহনে যাওয়া যাত্রী এবং চালকদের পানি পান করান সংস্থার সদস্যরা। তপ্ত দুপুরে তাদের এই পানি পানে অংশ নেন রিকশাচালক, ভ্যানচালকসহ সকল শ্রেণি পেশার পিপাশীত মানুষ। এছাড়া বিভিন্ন বয়সের স্কুল শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং ছোট্ট শিশুরাও এই পানি পানে অংশ নেয়।

এসময় অটো রিকশা চালক সোলাইমান বলেন, স্যালাইন মিশ্রিত ঠান্ডা পানি খেয়ে (পান) অনেক শান্তি পেলাম। যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় হাজার টিয়াস (পিপাসা) লাগলেও পানি খাওয়া (পান করা) হয়না। তখন মনে হয় কলজ্যা (কলিজা) ফেটে গেল। আর সেই সময় ফ্রিতে এই ঠান্ডা পানি খেয়ে খলিজা শীতল হল।

স্কুল শিক্ষার্থী ছিনথিয় বলেন, এত গরমে আংকেলরা মানুষকে পানি পান করাচ্ছেন, বিশেষ করে খেটে খাওয়া গরীব মানুষদের স্যালাইন পানিটা অনেক উপকার হবে। কেননা, সারাদিন তাদের শরীর থেকে ঘামের সাথে অনেক লবন পড়ে যায়। এই পানি পানে কিছুটা হলেও তাদের সেই ঘার্তি পূরণ হবে। পিপাসার সময় স্যালাইন পানি পান করে আমাদেরকে তৃপ্তি লেগেছে।

এ বিষয়ে গাইবান্ধার চলমান জবাব পত্রিকার সম্পাদক রজতকান্তি বর্মণ বলেন, ‘তৃষ্ণার্ত মানুষদের পানি পান করানো নি:সন্দেহে এটি একটি মহতী উদ্যোগ। এজন্য আমি তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাদুবাদ জানাই। স্যালাইনযুক্ত পানি পান করে অবশ্যই শ্রমজীবী-খেটে খাওয়া মানুষের এই গরমে অনেক উপকারই হবে।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে সংস্থাটির সভাপতি মো: রোকন-উদ-দোলা বলেন, এই তাপদাহে নিজেদের পানির চাহিদা এবং পিপাসার বিষয়টি চিন্তা করেই পথচারী এবং শ্রমজীবীদের পিপাসা নিবারণের জন্য এই আয়োজন। আজ আমাদের ভ্রাম্যমাণ ৫০০ লিটার পানির ট্যাংকে ১০০০ প্যাকেল স্যালাইন মিশ্রিত বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদি আগামী দিনেও তাপমাত্রা এরকম কিংবা বেশি থাকে তাহলে আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন