পটুয়াখালী প্রতিনিধি, এস আল-আমিন খাঁন:পতিতা বৃত্তির উদ্দেশ্যে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে অপহরন ও পাচার চক্রের মূলহোতাসহ দুইজন নারী সহযোগী আসামিকে পটুয়াখালী হতে গ্রেফতার এবং ০১ জন ভিকটিম উদ্ধার করেছে, র্যাব-৮, বরিশাল।*
র্যাব—৮, বরিশাল, সদর কোম্পানী এবং পটুয়াখালী ক্যাম্পের একটি বিশেষ যৌথ আভিযানিক দল (০১-এপ্রিল-২০২৪ ইং) তারিখ আনুমানিক রাত সাড়ে আটটার দিকে পটয়াখালী সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বরিশাল বাকেরগঞ্জ থানার ১৫ বছরের কিশোরী অপহরন পূর্বক পাচার চক্রের মূলহোতাসহ দুইজন নারী সহযোগী আসামি, (১) মোঃ ইমন হোসেন (২০), দুমকি থানার জলিশা গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান এর ছেলে, (২). তানিয়া (২৬), শরীয়তপুর জেলার পালং থানার চরপাতালীধী গ্রামের বাসিন্দা মৃত আনিচ আলীর মেয়ে, এবং (৩). জাহানারা বেগম( ২৭), মাদারীপুর সদর থানার পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর বেপারীর মেয়ে।
র্যাব সুত্রে, গত (১১ মার্চ ২০২৪ ইং) তারিখে ভিকটিম (১৫) বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার বাকেরগঞ্জ মহিলা মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে নিখোজ হয়। এ মর্মে ভিকটিমের পিতা আবুল কালাম গত (১২ মার্চ ২০২৪ ইং) তারিখে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি নিখোজ জিডি করেন। উক্ত ঘটনায় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার তদন্তের মাধ্যমে ভিকটিম পটুয়াখালী সদর থানাধীন এলাকায় অবস্থান করছে বিধায় আসামি গ্রেফতারের নিমিত্তে র্যাব -৮ বরিশাল বরাবর একটি অধিযাচন পত্র প্রেরণ করেন। এমতাবস্থায় র্যাব-৮ সদর কোম্পানী এবং সিপিসি-০১ পটুয়াখালী ক্যাম্প ছায়াতদন্ত ও আধুনিক তথ্য প্রযু্ক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং ভিকটিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মানব পাচার চ্ক্রের মূলহোতাসহ তার দুই সহযোগী আসামি ইমন হোসেন, তানিয়া ও জাহানারকে আটক করা হয়। গ্রেফতারের পর আসামিরা স্বীকার করে যে, আসামী মোঃ ইমন হোসেন ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অন্যান্য আসামিদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ও প্ররোচনায় ঘটনার দিন দুপুর ১৩.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম মোছাঃ জান্নাতি আক্তার (১৫)’ কে বাকেরগঞ্জ পৌরসভাধীন ০৬ নং ওয়ার্ডস্থ ভরপাশা টিএন্ডটি রোড মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে জোরপূর্বক মানব পাচারের উদেশ্যে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ০২ নং ও ০৩ নং আসামীর নিকট মাত্র ৩০ (ত্রিশ হাজার) টাকার বিনিময়ে পতিতা বৃত্তির উদ্দেশ্যে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু রমজান মাসে পতিতাবৃত্তি বন্ধ থাকায় আসামীরা ভিকটিমকে নানাভাবে পতিতাবৃত্তির জন্য চাপ ও প্ররোচনা দিয়ে আসছে।উল্লেখিত ঘটনায়, বরিশার জেলার বাকেগঞ্জ থানায় তদন্তকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বাকেরগঞ্জ থানায় ‘মানাব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬/৭/৮/১১’ ধারার অপরাধ অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৩, তারিখ-০২/০৪/২০২৪ ইং। পরে মানব পাচার মামলার উদ্ধারকৃত ভিকটিম এবং গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।