পঞ্চগড়ে হঠাৎ করে রোগীর চাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা
মনজু হোসেন স্টাফ রিপোর্টারঃ দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীত নামার সাথে সাথে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশী শিশুদের। গত দুই দিন ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগ। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই ২০০ থেকে ৩০০ শিশু আউটডোর থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন। এদিকে হঠাৎ করে রোগীর চাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
তবে এই সময়টিতে সবাই সচেতন থাকলে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমানো সম্ভব হবে বলে পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডাক্তার রফিকুল হাসান জানান।
হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিশু রোগীরা আউটডোরে চিকিৎসাসেবা নিতে আসছে। এর মাঝে যাদের অবস্থা কিছুটা ঝুকিপূর্ণ থাকতে তাদের হাসপতালে ভর্তি করা হচ্ছে। এদিকে শিশুর পাশাপাশি প্রায় ১০০ জনের মতো বয়স্ক রোগী শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পালাক্রমে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকেরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সরেজমিনে সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা মিলে এমন চিত্র।
পঞ্চগড়ের হাড়িভাসা থেকে সন্তানকে নিয়ে আসা আমেনা বেগম জানান, গত কয়েকদিন ধরে সর্দি জ্বরে ভুগছে তার মেয়ে। বাইরের চিকিৎসায় সুস্থ্য না হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
একই কথা বলেন, সদর উপজেলার জালাসী এলাকার রমেছা বেগম।
এদিকে আজিজ নামে আরেকজন জানান, হঠাৎকরে ধান্ডা লেগে যাওয়ায় অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে ছেলে। আউটডোরে ডাক্তারকে দেখানো হলে ডাক্তার হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বাড়ে। এ কারণে ভাইরাসজনিত রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকলে ঠান্ডাজনিত সমস্যাও বাড়বে। আবহাওয়া পরিবর্তনের এ সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শিশুর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুরা কোনো অবস্থায় যেন ভেজা না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে ঠান্ডার সমস্যা থেকে তারা কিছুটা হলেও সুরক্ষা পাবে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট (শিশু) ডা: মনোয়ার হোসেন জানান, পঞ্চগড়ে ডায়রিয়া ও নিউমনিয়া রোগের রোগীরা আউটডোরে বৃদ্ধি পেয়েছে। আউটডোরের রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এর মধ্যে যারা বেশী অসুস্থ্য তাদের ইনডোরে পাঠানো হচ্ছে। আমরা যথাযথ তাদের সুস্থ্য রাখতে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। একই সাথে আমরা তাদের সচেতন করছি।