মনজু হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃ পঞ্চগড়ের বকনা (গরু)দেয়ার নাম করে জন প্রতি এক থেকে তিন হাজার টাকা করে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. তাজুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে। বোদা উপজেলার ৫৯ নং পুঠিমারী বিলুপ্ত ছিটমহল সিরাজুল ইসলাম নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিনি। এখন গরুও পাচ্ছেনা, টাকাও ফেরত পাচ্ছেনা কয়েকশ ছিটমহলবাসী।যদিও বিষয়টি জানেননা বোদা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলে সীমান্তবর্তী সুবিধাবঞ্চিত এলাকা ও নদী বিধৌত অঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গরু দেয়ার নাম করে বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের বিলুপ্ত ছিটমহল নাজিরগঞ্জ ও ময়দানদিঘীর পুঠিমারি ছিটমহলের কয়েকশ লোকের কাছে হাতিয়ে নিয়েছেন সাড়ে তিনলক্ষ টাকা। এ টাকা নাজিরগঞ্জ ছিটমহলের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক ও পুঠিমারি সাবেক ছিটমহলের চেয়ারম্যান তছলিম উদ্দিনের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে ।
ভুক্তভোগী নাজিরগঞ্জ বিলুপ্ত ছিটমহলের ফরিদুল, মাজিদুল, চানমিয়া, ওমর আলী, আমিনা, আব্দুল হাই, জানান, সাবেক ছিটমহলের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আমাদের সবার কাছে গরু দেয়ার নাম করে এক হাজার একশ টাকা করে নিয়েছেন। কয়েকমাস হয়ে গেল এখন গরুও পাচ্ছিনা টাকাও ফেরত পাচ্ছিনা।
এদিকে বিলুপ্ত পুঠিমারি ছিটমহলের জয়তুন,সুফিয়া, আরজিনা, জানান, সাবেক ছিটমহলের চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন আমাদের কাছে এক হাজার করে টাকা নিয়েছেন গরু দিবে বলে। এখন কোনটাই নাই।
তবে বিলুপ্ত ছিটমহলের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক ২০০ জনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা হারে গরু দেয়ার নামে নিয়েছেন বলে স্বীকার করে জানান, আমি পুঠিমারি ছিটমহলের সিরাজুল ইসলাম নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলামকে টাকাটা দিয়েছি। এখনতো গরু দিতে পারছেনা। টাকা ফেরত দিবে বলে কালক্ষেপন করছে প্রধান শিক্ষক।
গরু দেয়ার নামে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর কাছে টাকা নেয়ার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম জানান, সাবেক ছিটমহলের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের সাথে তার পরিচয় আছে। কিন্তু তার সাথে কোন প্রকার টাকার লেনদেন হয়নি।
বোদা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সোবহান জানান, এবিষয়ে কিছু জানিনা তবে কেউ যদি কাউকে টাকা দেয় আমাদের করার কিছু থাকেনা।