পঞ্চগড় প্রতিনিধি,,পঞ্চগড় সদর উপজেলার১নং আমলাহার কালেকশ্বর গ্রামে দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে মসজিদের জন্য উঁচু দেয়াল নির্মাণ করায় আব্দুল কুদ্দুসের পরিবারসহ ৪ টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এতে স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলার আমলাহার কালেকশ্বর গ্রামের মৃত রহমত আলী ছেলে মোঃ আব্দুল কুদ্দুস ১৯৬২ সাল থেকে কালেকশ্বর গ্রামে বাড়ী ঘর নির্মান করে কালেশ্বর জামে মসজিদের সামনে দিয়া চলাচল করে আসছে।গত ৪ জুলাই আব্দুল কুদ্দুসের নাতী শাহ পরাণ মৃত্যু বরণ করে। আব্দুল কুদ্দুসের মৃত নাতীকে কালেকশ্বর জামে মসজিদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন এর নিজস্ব জমিতে দাফন করে। পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও মসজিদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন এর নিজস্ব জমিতে দাফন করাকে কেন্দ্র করে কালেকশ্বর জামে মসজিদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের নির্দেশে কালেকশ্বর জামে মসজিদের পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে আব্দুল কুদ্দুসের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তা কালেকশ্বর গ্রামের মৃত নুরু উদ্দিনের ছেলে মোঃ হাসান, মোঃ হাফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ আঃ রাজ্জাক,মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম, মৃত আঃ হামিদের ছেলে মোঃ চান মিয়াসহ ১০ জন আব্দুল কুদ্দুসের চলাচলের রাস্তা হঠাৎ করে ইটের প্রাচীর দিয়ে বন্ধ করে দেয়। আব্দুল কুদ্দুসের পরিবার সহ ৪ টি পরিবারের মানুষ বর্তমানে বাড়ী থেকে বাহিরে যেতে পারছেনা। আব্দুল কুদ্দুসের পরিবারের লোকজন সহ বর্তমানে ৪টি পরিবারের লোকজন বাড়ীতে আবদ্ধ অবস্হায় রয়েছে। বর্তমানে ৮/৯ জন ছাত্র ছাত্রী লেখা পড়ার জন্য বাড়ী থেকে স্কুলে যেতে পারছেনা। মসজিদ কমিটির লোকজন সহ মসজিদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বর্তমানে বি,এন,পি সরকারের প্রভাব দেখাচ্ছে । তাদের অত্যাচারে আব্দুল কুদ্দুস সহ ৪ টি পরিবার এলাকায় বসবাস করা সম্ভব হচ্ছে না।
ভুক্তভোগী ভ্যান চালক মোঃ রুকুমউদ্দীন বলেন, আমি একজন ভ্যান চালক আমাকে ভ্যান নিয়ে প্রতিদিন শহরে যেতে হয় টাকা উপার্জন জন্য। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আমি আমার ভ্যান নিয়ে বাহিরে যেতে পারছিনা। তারা খুব প্রভাবশালী তাই তাদেরকে কিছু বলতেও পারছিন।
আব্দুল কুদ্দুসের পুত্রবধূ মোছাঃ নার্গিস আক্তার বলেন, আমি একজন অসুস্থ (অন্তঃসত্ত্বা) মানুষ। আমাকে কিছুদিন পরপর ডাক্তারের কাছে যেতে হয় কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আমার স্বামী আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারে না। আমার খুব কষ্ট হয়।
ভুক্তভোগী মোঃ লাল মিয়া বলেন, আমার পরিবারে ছেলে মেয়ে সহ ৯জন বসবাস করি। রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আমার ছেলে মেয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। আমাদের চলাচল করতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, আব্দুল কুদ্দুসের পরিবার সমাজের বাইরের লোক। আমরা তাদেরকে সমাজ থেকে বের করে দিছি। তাদের রাস্তা আমরা বন্ধ করেনি। আমাদের মসজিদের জায়গায় আমরা দেয়াল নির্মাণ করছি। আব্দুল কুদ্দুস ও তারা ছেলেরা যা পারে করুক,আমাদের কাজ আমরা করে যাব।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, চেয়ারম্যান কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চেয়ারম্যান ব্যবস্থা নিবে।