মনজু হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃ পঞ্চগড়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও একবছর কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করা হয়।
আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজিজার রহমান আজু জানান, দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোহ প্রমানিত হওয়ায় আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৯ এর ৩ প্যানেল কোডের ৩০২ ধারা মতে এই রায় দেন। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দুইজনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
রোববার দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বি. এম তারিকুল কবির এ দণ্ডাদেশ দেন। এসময় তিনি মামলার অপর দুই আসামী কাবুল ইসলাম ও রবিউল ইসলামকে খালাস দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের নিমাইপাড়া এলাকার আব্বাস উদ্দীনের ছেলে শহিদুল ইসলাম কাবুল (৪২) এবং একই ইউনিয়নের গোলাবাড়ি এলাকার জহির উদ্দীনের ছেলে নাজমুল হুদা (৪৫)।
আদালত ও মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মজির উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি পঞ্চগড় সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি এজহার দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ। অভিযোগপত্রে ৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। মজির উদ্দীন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঢাঙ্গীপুকুরী এলাকার মৃত কাশিম উদ্দীনের ছেলে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, মজির উদ্দীনের ছোট বোন নুরিনা বেগম। ২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর স্বামীর বাড়ি বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকা থেকে বেড়াতে এসেছিলো তার বাড়িতে। পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে বড় বোনের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এরপর প্রায় ১০ দিন পর, অর্থ্যাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর তার গলিত মরদেহ পাওয়া যায় অমরখানা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া মৌজার একটি ইউক্লিপ্টাস বাগানে। সেসময় তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিলো।