পঞ্চগড়ে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের নিয়োগে ঘুস জালিয়াতির মামলায় সাইফুল ইসলাম দুলাল নামে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মামলার অপর আসামীরা হলেন- আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের তেলীপাড়া এলাকার গ্রামের ইসলাম উদ্দীনের মেয়ে মোছা. ইয়াসমিন (২১), একই ইউনিয়নের নলপুকুরী গ্রামের লতিফুর রহমানের মেয়ে মৌসুমী আক্তার (২৮), ইয়াসমিনের স্বামী এএইচআর মাসুদ রয়েল (২৮) এবং ভাই সাইদুর রহমান (২৪)। তারা প্রত্যেকেই জামিনে রয়েছেন।
রোববার (১৫ জানুয়ারী) দুপুরে আদালতে জামিন আবেদন করলে পঞ্চগড় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মণ্ডল জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সাইফুল ইসলাম দুলাল পঞ্চগড় সদরের ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল হান্নান।
এর আগে, গত বছরের ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া বাদী হয়ে এই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ইয়াসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, তার ভাই সাইদুর রহমান এবং স্বামী এএইচআর মাসুদ রয়েল তাকে লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করাতে সহায়তা করেছেন। পরে ভাইবা বোর্ড কৌশলে সাইদুর এবং মাসুদ রয়েলকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
কিন্তু তাদের কথাবার্তায় অসংগতি প্রকাশ পায়। এক পর্যায়ে তাদের লিখতে দেওয়া হয়। কিন্তু লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে তাদের লেখার মিল না থাকায় নিয়োগ বোর্ডের সন্দেহ হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকার করেন তাদের হয়ে অন্য কেউ লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন।
তারা জানান, পঞ্চগড় সদরের ধাক্কামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে ১২ লাখ টাকার চুক্তি হয় ইয়াসমিনের চাকরির জন্য।