মনজু হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃ পঞ্চগড় আদালতে একটি হত্যা মামলার আসামীদের জামিন দেয়ায় বিচারকের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে জুতো নিক্ষেপ করেছে মামলার বাদী। সোমবার দুপুরে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
আইনজিবী সমিতির সাধারন সম্পাদক বলেন আদালতে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা আইনজিবীরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করবো।
সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে জমি যায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ৫ ডিসেম্বর একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে মিনারা আক্তার। সোমবার দুপুরে এই মামলার আসামীরা আদালতে আত্নসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক আসামীদের জামিন মঞ্জুর করে।
আসামীদের জামিন দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিচারকের প্রতি জুতা নিক্ষেপ করেন বাদী মিনারা আক্তার। এ ঘটনায় আদালতে হট্টোগোল শুরু হয়। আদালত ও মামলা সূত্রে জানাগেছে জমি যায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল পঞ্চগড় সদর উপজেরার সাতমেরা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের দুই ভাইয়ের মধ্যে। গত ৫ ডিসেম্বর এই বিরোধের জের ধরে কিলঘুষিতে ছোট ভাই আব্দুল মমিন (৬৫) এর হাতে বড় ভাই ইয়াকুব আলী’র (৮৩) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ইয়াকুব আলীর মেয়ে মিনারা আক্তার বাদী হয়ে সদর থানায় ১৯ জনকে আসামী করে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। এই মামলার আসামীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালত পঞ্চগড় ১ এ ১৫ জন আত্নসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন।
এই আদালতের বিচারক অলরাম কার্জী সকল আসামীকে জামিনের আদেশ দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাদী পক্ষ। একসময় আদালতে হট্টোগোল শুরু হয়। এসময় বাদী মিনারা আক্তার বিচারকের উদ্দেশ্যে জুতা নিক্ষেপ করে। পরিবেশ থমথমে হয়ে উঠলে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দুই ঘন্টা পর আবার আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে বাদী মিনারা আক্তারকে আটক করে পুলিশ।
আসামী পক্ষের আইনজিবী রাকিব হোসেন জানান, এই মামলার ৪ থেকে ১৫ নং পর্যন্ত আসামীরা জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করে। এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে বাদী বিচারকের উদ্দেশ্যে জুতো নিক্ষেপ করে।
বাদী পক্ষের আইনজিবী হাবিবুর রহমান জানান, এই মামলার বিজ্ঞ বিচারক সাধারন মামলাগুলোর আসামীদের জামিন দেয়না। কিন্তু ৩০২ ধারার একটি হত্যা মামলার আসামীে;দর কিভাবে জামিন দিল এটা বোঝা যাচ্ছেনা। হত্যা কান্ডের ৭ দিনের মাথায় আসামীরা জামিন পায় আইনজিবী হিসেবে এটা আমরা কখনো দেখিনাই। আজ হত্যাকান্ডের শিকার ওই ব্যাক্তির কুলখানি চলছিল। এই সুযোগে আসামীরা আত্নসমর্পন করতে আসে। মৃত ব্যাক্তির মেয়ে বাদী একজন শিক্ষিত ও দরীদ্র মেয়ে। সুবিচার হয়নি।