হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে বইছে শীতের আমেজ। পরতে শুরু করেছে.কুয়াশাও।অন্যদিকে শীতের আমেজে ফুঁটে ওঠছে,আবহমান গ্রাম-বাংলার চিরায়চিত ঐতিহ্যের রূপও।
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত ্হিমালয় কন্যা পঞ্চগড় সহ উত্তরের সব জেলাতেই শীতের এমন আগমনী বার্তায় শীত নিবারণে প্রস্তুত্তি নিলেও শুরুতেই শীত নিবারণে হিমসিম খাচ্ছে,হতদরিদ-ছিন্নমূল মানুষ।
আজ রোববার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে আবহাওয়া অফিস নিশ্চিত করেছে। আজ রাত থেকে অনুভুত হচ্ছে শীত। হঠাৎ এ শীত মোটা কাপড় ও কাথা মোড়াতে বাধ্য করেছে। দিনে রোদ থাকলেও সন্ধ্যার পর শীত অনুভব হচ্ছে। ভোরের আবহাওয়াও বেশ ঠান্ডা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.রাসেল শাহ্ জানিয়েছেন,এ মৌসুমে সর্বোনিন্ম তাপমাত্রা ছিলো আজ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আবারো সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। । দু’একদিনে তাপমাত্রা আরো কমবে বলেও তিনি জানান।
প্রকৃতিতে এখন চলছে হেমন্তকাল। শীত আসতে আরও দিন দশেকের মতো বাকি থাকলেও এবার আগাম এসেছে শীত। দিনে রোদের তাপ থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই পড়তে শুরু হচ্ছে, হালকা কুয়াশা। রাত বাড়ার সঙ্গে কুয়াশাও বাড়ছে। ভোরে হালকা কুয়াশার চাদর ভেদ করেই উঁকি দিচ্ছে সূর্য আলো। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ্ মতে, সন্ধ্যার পর থেকেই তাপমাত্রা কমে আসতে শুরু করে। তাই,একটু আগে-ভাগেই শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনে সূর্যের তাপ থাকলেও সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমে আসছে। রাতে কুয়াশাও পড়ছে।
এদিকে শীতের আমেজে ফুঁটে উঠছে,আবহমান গ্রাম-বাংলার চিরায়চিত ঐতিহ্যের রূপ। ভোরের আলোয় ঘাস,ফুল আর লতাগুল্মে শিশি’র বিন্দু করছে,মুক্তদানার মতো চিক্ চিক্। কুয়াশায় উঁকি মারছে সকালের সূর্য।বাজারে উঠছে,নিত্য-নতুন শীতের সব্জি।ফসল উৎপাদনে কাঁধে লাঙ্গল আর জোয়াল নিয়ে মাঠে ছুটঁছেন কৃষক।চলছে, আমন ধান কাটা-মাড়াই আর ঝাড়াই উৎসব। ভাপা পিঠা আর চিতোই পিঠা বানানো এবং খাওয়ার ধুম চলছে সমান তালে।
এরই মাঝে কুয়াশায় লুকো-চুরি খেলতে খেলতে উদিত হচ্ছে সূর্য। কাক-পক্ষীর পাশাপাশি শিশু-কিশোররাও স্বাদ নিচ্ছে খেজুর রসের। শীত নিবারণে কেউ তৈরী করছে কাথা,কেউ লেপ-তোষক।আবার খর-কুটো জ্বালিয়েও কেউ শীত নিবারণের করছে,প্রচেষ্ঠা । এমনই দৃশ্য এখন প্রতিনিয়ত পড়ছে চোখে উত্তরাঞ্চলের গ্রাম-বাংলায়।