নীলফামারীর ডোমারে চলন্ত অটো রিক্সায় গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে চালকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ১১ টায় ডোমার-আমবাড়ী সড়কের ভেলেঙ্গার ডারা এলাকা হতে তাদেরকে আটক করা হয়। রাতেই ওই গৃহবধু বাদী হয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরদিন মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের মফিজপাড়া এলাকার সফিজুল ইসলামের ছেলে অটোরিক্সা চালক কামাল ইসলাম (২০) ও একই এলাকার তার সহযোগী মৃত সহির উদ্দিনের ছেলে ইউনুস আলী(৪৮)।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকাল চারটায় ওই গৃহবধু চিলাহাটি মুন্সিপাড়া এলাকার শ্বশুর বাড়ী হতে বাবার বাড়ী নওগঁা যাওয়ার উদ্দেশ্যে অটো-রিক্সায় ডোমার রেল স্টেশনে আসে। শান্তাহার যাওয়ার ট্রেনের খোঁজ নেওয়ার জন্য গৃহবধু অটোচালক কালামকে স্টেশনে খোঁজ নিতে বলে। অটো চালক রাত সাড়ে আটটায় শান্তাহারের ট্রেন আছে বলে তাকে জানায়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ওই গৃহবধু টিকেট কাউন্টারে শান্তাহারের একটি টিকেট চাইলে, শান্তাহারের কোন ট্রেন নাই বলে টিকেট কাউন্টার থেকে জানায়। গৃহবধু সরলমনে ওই অটো-রিক্সাতেই শ্বশুরবাড়ী ফিরছিল। অটো চালক ইতোমধ্যে তার সহযোগী ইউনুসকে নিয়ে ডোমার-আমাবাড়ীর অন্ধকার নির্জন রাস্তা দিয়ে চিলাহাটি রওনা হয়। কিছুদুর যাওয়ার পর অন্ধকার একটি স্থানে অটোর ভিতরে ও অটো থেকে টেনে নামিয়ে একটি ক্ষেতে গৃহবধুটিকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। গৃহবধু তাদের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি হয়ে কৌশলে তাদেরকে আবার অটোতে নিয়ে আসে। কিছুদুর যাওয়ার পর ভেলেঙ্গার ডারা এলাকার রাস্তার পাশ্বে একটি দোকানে কিছু মানুষ দেখতে পেয়ে গৃহবধু অটো থেকে লাফ দিয়ে চিৎকার করে। এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পেঁৗছে তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। রাতেই গৃহবধু বাদী হয়ে ডোমার থানায় ধর্ষণের চেষ্টার একটি মামলা করেন।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামীদের ধরে নিয়ে আসি। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।